বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবে: প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‌ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই দেশের সকল সংগ্রাম এবং তার ফলে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সঙ্গে চলবে। কারও কাছে হাত পেতে নয়, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবো।’

শনিবার একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এই পদক তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

পদকপ্রাপ্ত গুণীজনদের কাছ থেকে নতুন প্রজন্ম শিক্ষা গ্রহণ করবে, এই আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বাংলাদেশ আত্মমর্যাদায় বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জাতিকে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। মাথা উঁচু করে চলার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে দেশ। বাঙালি জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতেই পাকিস্তানি শাসকরা বিজাতীয় ভাষা চাপিয়ে দিয়ে সংস্কৃতির ওপর আঘাত হেনেছিল।’

যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলা ভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা এসেছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

চলতি বছর ভাষা আন্দোলনে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিনজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে তিনজন এবং সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা, অর্থনীতি ও সমাজসেবায় একজনকে একুশে পদক দেওয়া হয়েছে।

২১ বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন- ভাষা আন্দোলনের জন্য মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার-মরণোত্তর), শামছুল হক (মরণোত্তর) ও আফসার উদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর)।

শিল্পকলায় পাপিয়া সারোয়ার (সংগীত), রাইসুল ইসলাম আসাদ (অভিনয়), সালমা বেগম সুজাতা (অভিনয়), আহমেদ ইকবাল হায়দার (নাটক), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র), ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় (আবৃত্তি), পাভেল রহমান (আলোকচিত্র)।

মুক্তিযুদ্ধে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুমা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর)। এ ছাড়া, সাংবাদিকতায় একুশে পদক পাচ্ছেন অজয় দাশগুপ্ত, গবেষণায় ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মির্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান, ভাষা ও সাহিত্যে কবি কাজী রোজী, বুলুবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ।