সাবধান! না জানলে আপনিও বিপদে পড়বেন


অনেক প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় কর্মীদের নির্দিষ্ট পোশাক পরে কাজ করতে হয়। আর বাড়ি ফেরার সময় সেই পোশাক বদলে অনেক প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় কর্মীরা নির্দিষ্ট পোশাক পরে কাজ করতে হয়। আর বাড়ি ফেরার সময় সেই পোশাক বদলে নেন তারা। আবার নতুন পোশাকে নিজেকে দেখতে কেমন লাগছে? ফিটিং সাইজ দেখার জন্য রয়েছে ট্রায়াল রুম। মেয়েদের জন্য এই ট্রায়াল রুমে কোনা ফাঁদ পাতা নেই তো? নিশ্চিত হোন এখানে লুকানো কোন ক্যামেরা বসানো আছে কিনা। এরপর পোশাক পরিবর্তন করুন। এমন ভয়ংকর বিপদ এড়িয়ে চলতে সাবধানতার বিকল্প নেই।

বর্তমানে অধিকাংশ শপিং সেন্টারে থাকছে ট্রায়াল রুম। সেখানে পছন্দের পোশাকটি ঠিকঠিক গায়ের মাপে কি না তা দেখে নেয়া যাচ্ছে। কিছু কুরুচিপূর্ণ মানুষ সেই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সমাজে ঘটাচ্ছে নানা রকম নোংরামি।

প্রয়োজনীয় ট্রায়াল রুম বা পাবলিক টয়লেটে সেট করছে গোপন ক্যামেরা। আর গোপনে ভিডিও করা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ দৃশ্য। এমন পরিস্থিতিতে আপনি বা আমি কতটুকু নিরাপদ? তাই দরকার আগেই গোপন ক্যামেরা শনাক্ত করা।

শপিংমলের ট্রায়াল রুমে যে আয়না থাকে সেটা আসল নাও হতে পারে, এটিও গোপন ক্যামেরার মতই মারাত্মক! প্রযুক্তির অপব্যবহারে আসল আয়নার মাঝে এখন যুক্ত হয়েছে নকল আয়না, যাকে বলা হয় দ্বিমুখী আয়না। এই আয়নায় আপনি আপনার চেহারা দেখতে পারবেন, কিন্তু ভুলেও বুঝতে পারবেন না যে অন্য পাশ হতে কেউ আপনাকে দেখছে !

শপিংমলের ট্রায়াল রুমে পোশাক পাল্টানোর সময় হিডেন বা পিন হোল ক্যামেরায় ছবি উঠে যাওয়ার ঘটনাতো সবাই জানেন। কিন্তু এবার নতুন বিপদ! ট্রায়াল রুমে আপনি যে আয়নার সামনে পোশাক পাল্টাচ্ছেন সেই আয়নার মধ্য দিয়েই হয়তো আপনার গোপন মুহূর্ত দেখে নিচ্ছে অন্য কেউ।

বিভিন্ন শপিংমলে, দোকানের ট্রায়াল রুমে এক শ্রেণির বিকৃত মনের অসাধু মানুষেরা এসব গোপন ক্যামেরা রেখে প্রতিদিন আপনার আমার অজান্তেই ধারণ করছে মেয়েদের নগ্ন ছবি-ভিডিও! যার ভয়ানক প্রভাব আমাদের কারোই অজানা নয়।

খুব সহজেই তারা মেয়েদের কাপড় বদলানোর নগ্ন ভিডিও ধারন করে তা বিভিন্ন ওয়েব পেজে ছড়িয়ে দিয়ে থেকে আয় করছে টাকা।আবার কেওবা স্রেফ বিকৃতির কারনেই ছড়িয়ে দিচ্ছে এসব নগ্ন ছবি। যার ফলসশ্রুতিতে এখন ইউটিউব এবং বিভিন্ন পর্ণ সাইটে লাখ লাখ হিডেন ক্যামেরার ফুটেজ!

কিভাবে বুঝবেন টু ওয়ে মিরর ব্যবহার করা হয়েছে কি না ?

শপিংমল অথবা দোকানের যে ট্রায়ালরুমে আপনি চেঞ্জের জন্য ঢুকছেন সেখানে কোন আয়না থাকলে আপনার আঙ্গুল তির্যকভাবে রাখুন। আপনার আঙ্গুলের ছবিতে যদি গ্যাপ দেখতে পান তাহলে ঠিক আছে। এর ব্যতিক্রম হলেই বুঝতে হবে এখানো গোপনে আপনাকে কেউ ভিডিও করছে।

রুমে গোপন ক্যামেরার অস্তিত্ব নির্ণয় করা যায় খুব সহজে। কাজটি আপনিও করতে পারেন মাত্র এক মিনিটে। এজন্য ট্রায়াল রুমে ঢুকে আপনার মোবাইল থেকে কাউকে কল দেয়ার চেষ্টা করুন। যদি কল করা যায় ও নেটওয়ার্ক ঠিক থাকে, তাহলে বুঝবেন গোপন ক্যামেরা নেই। আর যদি কল করা না যায় ও নেটওয়ার্ক হঠাৎ করে একদম ডাউন হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন সেখানে অবশ্যই গোপন ক্যামেরা রয়েছে।