করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুরুর মতোই পদক্ষেপ নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী


সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি :ফোকাস বাংলা

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুরুর দিকের মতো পদক্ষেপ নিতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এজন্য দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন। সেইসঙ্গে মাস্ক পরা এবং কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

চলমান সংসদের সরকারদলীয় সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে শোকপ্রস্তাব আনা হয়। শোকপ্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশে হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ কেন বেড়ে গেল তা জানিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ এবং এই মহামারি প্রতিরোধে কী করণীয় তা তুলে ধরেন। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক অনুষ্ঠানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দেন তিনি।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু আবার বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশেও কিছুদিন ধরে হঠাৎ দ্রুত সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে হয়তো মনে করছেন, যেহেতু টিকা নিয়েছেন, আর কিছু হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মানা বন্ধ হয়েছে। যত বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে, সেখানে অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, যারা পর্যটনে গেছে, সেখানেও আক্রান্ত হয়েছে।

 

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশে করোনার সংক্রমণের প্রথম দফায় যেভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল, সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

 

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের ১৮ দফার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পুনরায় ধীরে ধীরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার চেষ্টা করছে। সে জন্য জনগণের সহায়তা দরকার। এ সময় কীভাবে, কোন উপায়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে সে ব্যাপারেও পরামর্শ দেন সরকারপ্রধান। সব সময় মাস্ক পরা, গরম পানির ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

 

সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে সংসদের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

পরে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ছাড়াও এইচ টি ইমাম, মওদুদ আহমেদ, আতিকুল্লাহ খান মাসুদসহ নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাতে অংশ নেন সংসদ সদস্যেরা।