জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে খালেদা জিয়া : মির্জা ফখরুল


বৃহস্পতিবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যুবদলের সমাবেশে বক্তব্য বিএনপির মহাসচিব দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়া আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তিনি তাঁর জীবন নিয়ে লড়াই করছেন।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে যুবদলের সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।

‘আমরা কি ঘরে বসে থাকব? আমরা ঘরে বসে থাকব না। আমরা সমস্ত শক্তি দিয়ে তাঁর জীবন রক্ষার জন্য কাজ করব’, বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘সামনের দিনে আরও শক্তি নিয়ে নেমে আসব। এ সরকারকে বাধ্য করতে হবে যে, কালবিলম্ব না করে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় পেছনের দরজাটাও খুঁজে পাবেন না।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের চক্রান্ত হিসেবে খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কারাগারে পরিত্যক্ত ভবনে তাঁকে দুই বছর রাখা হয়েছে। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে আনা হলেও চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। অনেকের মধ্যেই এ প্রশ্ন এসেছে, সেদিন কি খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিংয়ের কোনো ব্যবস্থা হয়েছিল? আমরা এটা পরিষ্কার জানতে চাই। এদের (আওয়ামী লীগ) পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়।’

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চিকিৎসকেরা বলছেন তাঁদের সব বিদ্যা প্রায় শেষ। এর বেশি কিছু করতে পারবেন না। অবিলম্বে তাঁকে বিদেশে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনা শুনতে চান না। কেন শুনতে চাচ্ছেন না? কারণ তাঁর রয়েছে প্রতিহিংসা। আন্তর্জাতিকভাবেও চাপ আসছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য। কিন্তু, শেখ হাসিনা তাও শুনতে চাচ্ছেন না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘পৃথিবীতে যা কিছু পরিবর্তন হয়েছে, তা যুবকদের মাধ্যমে। প্রমাণ করে দিতে হবে, এখন যাঁরা যুবদলের সঙ্গে আছেন, ভয়াবহ এ দানবকে ধ্বংস করতে হবে। আমরা এমন এক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি, যাদের কাজ হচ্ছে—মানুষকে হত্যা করা। তাই কৌশলে এগোতে হবে। আমরা ভুল করলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাব।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশে স্বাস্থ্য, সড়কসহ বিভিন্ন খাত আছে, সবগুলোতে এখন দুর্নীতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে… দেশ এখন চরম ঝুঁকিতে পড়ে গেছে। পুলিশ নিয়োগ হয় দলীয় পরিচয়ে। কনস্টেবল নিয়োগে ২০ লাখ টাকা ঘুস দিতে হয়। কুমিল্লায় কাউন্সিলরকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়েছে। এটা অশনিসংকেত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেরা শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে।’