স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোষ্টার লাগালে হাত-পা কেটে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে


নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোষ্টার যারা লাগাবে তাদের হাত-পা কেটে নেওয়ার হুমকি, ভোটের মাঠ ছেড়ে দেওয়ার হুমকিসহ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে। 
আজ শনিবার দুপুরে নিয়ামতপুর প্রেস ক্লাবে ভাবিচা ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.শরিফুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো.শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভাবিচা ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে আসার পর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী ওবায়দুল হকসহ তাঁর কর্মী-সমর্থকরা সব সময়ই আমাকে এবং আমার কর্মী সমর্থকদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।’
মো.শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিক বরাদ্দের আগে গত ২৫ অক্টোবর মারধর ও আমার দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন নৌকার প্রার্থীর লোকজনেরা। এছাড়া প্রতিক বরাদ্দের পর প্রচারণার প্রথম দিনেই উপজেলার কয়েস স্কুল মাঠে পোষ্টার লাগাতে গেলে আমার কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও চার টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি  নির্বাচনি ক্যাম্প ভাংচুর করে পোষ্টার ছিড়ে ফেলেছে তাঁরা। প্রচারণা শেষে রাতে বাড়ি ফেরার পথে নৌকার সমর্থকরা মটরসাইকেল আটকিয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এখন নৌকা প্রার্থীর লোকজনেরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন।’
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রে ভোটার যেতে দিবে না বলে হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া ডিমা এলাকার নৌকা মার্কার প্রভাবশালী কয়েকজন কর্মী আমার কর্মী সমর্থকদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘আনারস প্রতীকের পোষ্টার যারা লাগাবে তাঁদের হাত-পা কেটে দেওয়া হবে’।
তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনও আমার অভিযোগের বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনভাবে হুমকি, নির্বাচন ক্যাম্প ভাংচুর ও প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা সৃষ্টি করলে নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবেনা বলে ধারণা করছি। অভিযোগের সুষ্ঠ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
এবিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওবায়দুল হক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি বা আমার কর্মী-সমর্থকরা শরিফুলকে কোন হুমকি দেয়নি। তাঁর মোটরসাইকেল ভাংচুর ও প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা দেয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে সে নির্বাচনে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে। যাতে ভোটাররা আমাকে ভুল বোঝে। চারদিকে নৌকার গণজোয়ারে তিনিই হয়তো ভয়ে আছেন। যার কারনে এমন মিথ্যা অভিযোগ রটাচ্ছেন আমার বিরুদ্ধে।’
এব্যাপারে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউল হক খান জানান, ‘ভাবিচা ইউনিয়নে হট্রগোল হয়েছে এমন একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তাঁরা লিখিত অভিযোগ দিবেন শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান,’নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি একটি শান্তিুপূর্ণ নিবার্চন উপহার দিতে পারবো।’