স্মার্ট বাংলাদেশের যারা ধারক বাহক হবে, তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে – এনএসডিএ’র নির্বাহী চেয়ারম্যান


স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান নাসরীন আফরোজ বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের মূল নিয়ামক স্মার্ট জনগোষ্ঠী। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছেন তা বাস্তবায়নের জন্য উন্নত জনশক্তির কোনো বিকল্প নেই। স্মার্ট বাংলাদেশের যারা ধারক বাহক হবে, তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতিমালা-২০২২ অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সহযোগিতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এ অবহিতকরণ কর্মশালার আয়োজন করে। বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ, এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনএসডিএ’র সদস্য কামরুন নাহার সিদ্দীকা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নাসরীন আফরোজ বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের যে দেশেই যান না কেন, সেখানে তাঁর কথা মনোযোগের সাথে শোনা হয়। তিনি সবখানে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেন এবং তার বাস্তবায়ন করেন। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতিমালা তারই একটি বহিঃপ্রকাশ। দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অবহিতকরণের জন্য এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশকে এখন আর স্বপ্ন নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আমরা লক্ষ্য করেছি। করোনায় অন্য দেশের মতো আমাদের অর্থনীতি স্থবির হয়নি, থেমে থাকেনি।
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জিও-এনজিও সকলকে একসাথে নিয়ে কাজ করতে চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা সবাই যদি কাজ করি তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যেই আমরা উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।
কর্মশালায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতিমালা-২০২২ ছাড়াও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করা হয়। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা নীতিমালার বিভিন্ন দিক নিয়ে নিজস্ব জিজ্ঞাসা ও মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলার জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জনশক্তি প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।