আটঘরিয়ায় পূর্ববিরোধের জেরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা


পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার আটঘরিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরকে কেন্দ্র করে লাভলী খাতুন(২৮) নামক এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে  দূর্বৃত্তরা।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ২২ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার সময় উপজেলার রোকনপুর গ্রামে। তার স্বামীর নাম কনক হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু ইউসুফ।
নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে কনক হোসেন এর
সাথে দীর্ঘ দিন ধরে একই গ্রামের আজহার আলীর ছেলে সবির আলীর সাথে বিলে জাল দিয়ে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
এরই এক পর্যায় ঘটনার দিন কনক বিষ দেয়ার মেশিন মেরামত করার জন্য মুলাডুলি বাজারে যান। এসুযোগে কনক বাড়িতে না থাকায় ওই রাতে মুখোশ পরিহিত দূর্বৃত্তরা বাড়ির পিছনের বেড়া ভেঙ্গে বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে।
এসময় দূর্বৃত্তরা লাভলীর স্বামীর কন্ঠরস্বর নকল করে কনককে ডাক দেয়। তখন স্বামীর আওয়াজ শুনে স্ত্রী লাভলী খাতুন ঘরের দরজা খুলে দেয়।
মুহুর্তের মধ্যে দূর্বৃত্তরা লাভলীকে ধরে গলাচেপে শ্বাসরোধে হত্যা চেষ্টা করে। এসময় তাদের ধস্তাধস্তির এক পর্যায় লাভলী খাতুনের শিশু  ছেলে সজীব ঘুম ভেঙ্গে চিৎকার করলে দূর্বৃত্তরা
লাভলীকে মুর্মুর্ষ অবস্থায় উঠানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তার স্বামী বাড়ীতে এসে দেখে উঠানে অচেতন অবস্থায় স্ত্রী লাভলী খাতুনকে পড়ে থাকতে দেখে তার বাবা মা, ও শশ্বর শাশ্বড়ীকে খবর দেয়া।
আজ বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর সকালে লাভলীর অবস্থা অবনতি ঘটলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি কালে আনুমানিক সকাল নয়টার দিকে বাড়ীতেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত লাভলীর সন্তান সজীব(৮) জানান, আমি ঘটনার সময় চেচামেচি শুনে আমার ঘুম ভেঙে যায়। এবং দেখি তিনজন লোক কালো কাপড় দিয়ে মুখ ডাকা আমার মাকে গলা টিক মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। সজীব আরও জানান, আমার মায়ের গলায় এবং হাতে দাগ আছে।
নিহত লাভলীর স্বামী কনক জানান, দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিবেশী সবির গংদের সাথে পূর্ব বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী অচেতন অবস্থায় উঠানে পড়ে আছে।
এসময় আমার ছেলে কান্নাকাটি করে এসে আমাকে বলে তিনজন কালো মুখোশ পড়ে মাকে গালাটিপে হত্যার চেষ্টা করে।
এবিষয়ে আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শফিকুজ্জামান সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা আমরা যাচাই করছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানানো হবে। এবিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।