জেএফএ অ-১৪ জাতীয় মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপের পুরস্কার বিতরণ


  নিজস্ব প্রতিবেদক: জেএফএ অনূর্ধ্ব-১৪ জাতীয় মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ-২০২০ চূড়ান্ত পর্বের ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাগুরা জেলা দল। আর রানারআপ গতবারের চ্যাম্পিয়ন রংপুর জেলা দল। সোমবার বিকেলে জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন। রাজশাহী জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত চূড়ান্ত পর্বের খেলায় ৮টি দল অংশ নিয়েছিল।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, ফুটবলে মেয়েরা ভালো খেলছে। আগামীতেও আরো ভালো খেলবে বলে আশা রাখি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য উল্লেখযোগ্য।

 

মেয়র আরো বলেন, আমি প্রথম মেয়াদে মেয়র থাকাকালে কাউন্সিলর গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিলাম, যা শহরজুড়ে সাড়া ফেলছিল। এবার মুজিববর্ষেই মেয়র গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চাই।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াহেদুন নবী অনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, বাফুফের সহ-সভাপতি ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভুইয়া মানিক, বাফুফে সদস্য মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন, বাফুফে সদস্য ও রেফারীজ কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী, বাফুফে সদস্য মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, বাফুফে মহিলা ফুটবল কমিটির সদস্য সৈয়দ রিয়াজুল করিম, বাফুফে‘র সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। অনুষ্ঠানে টুর্নামেন্ট কমিটি রাজশাহীর সদস্য সচিব শামসুজ্জামান রতনসহ খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ ও দর্শকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ইকবাল বিন আনোয়ার ডন বলেন, মেয়র কাপে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। আমরাও চায় ঢাকার বাইরে খেলাধুলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য জেলার টুর্নামেন্টেও পৃষ্ঠপোষকতা রাখার জন্য চেষ্টা করে যাব।

 

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে ফাইনালে ৩-১ গোলে রংপুর জেলা দলকে হারিয়েছে। ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলা ১-১ গোলে ড্র ছিল। ফাইনাল ম্যাচের প্রথম গোলটি ১১ মিনিটের মাথায় রংপুরের অধিনায়ক খাদিজা আক্তারের পা থেকে আসে। কিন্তু ১৭ মিনিটের মাথায় মাগুরার অধিনায়ক নবিরুন পেনাল্টি গোল করে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন। বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে উভয় দলের খেলোয়াড়রা প্রভাব বিস্তার করে খেলতে থাকেন। এতে করে পেনাল্টি এরিয়ায় আবারও গোলের সুযোগ পেয়ে যান মাগুরার মেয়েরা।

 

রংপুরের পেনাল্টি এরিয়ায় এক খেলোয়াড় হ্যান্ড করলে ৪২ মিনিটের মাথায় গোল ব্যবধান বাড়িয়ে দেন মাগুরার অধিনায়ক নবিরুণ। এর এক মিনিট পর ৪৩ মিনিটের মাথায় জয়সূচক গোল করেন মাগুরার স্ট্রাইকার অর্পিতা বিশ্বাস। টুর্নামেন্টে ম্যান অব দ্যা ফাইনাল হয়েছেন মাগুরার অধিনায়ক নবিরন এবং সর্বোচ্চ ৯টি গোল করেন অর্পিতা বিশ্বাস।

 

মাগুরা কোচ ও ম্যানেজার প্রভাষ রজন মৈত্র বলেন, আজকে আমাদের জীবনে সবচেয়ে গৌরবময় দিন। আমাদের ফুটবল যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে। কিন্তু আমরা জাতীয় পর্যায়ে এই প্রথম চাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি। এর আগেও রানারআপ হয়েছি। মাগুরার একটি স্কুলের মেয়েরা জেলা দলের হয়ে খেলেছে। তাই তাদের বোঝাপড়াটাও ভালো ছিল। এজন্য আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।