গর্ভবতী ও ১৮ বছরের কম বয়সীরা টিকা পাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


১৮ বছরের কম বয়সী, সন্তানসম্ভবা কিংবা বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক।

এ নীতিমালা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) করে দেয়া জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেটা অনুসরণ করছি মাত্র।’

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে দুটি ভ্যাকসিন ল্যাব পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ করা হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী। তাদের নির্দেশনা ১৮ বছরের কম বয়সী, গর্ভবতী মা ও অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়া হবে না। বাংলাদেশে এমন জনগণ রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি।’

টিকা পেতে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে, সরকারের এমন সিদ্ধান্তে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের টিকা পেতে কোনও জটিলতা তৈরি হবে কিনা- এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জেলা পর্যায়ে কমিটি করেছি। সেই কমিটির মাধ্যমে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা নিশ্চিত করা হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন আনতে সরকারের সব প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা ক্রয় অর্ডার দিয়ে রেখেছি, অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিন পাবো।’

টিকার সুষ্ঠু বণ্টনে কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘টিকা কীভাবে বণ্টন ও বিতরণ করা হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। টিকা প্রয়োগ ও বিতরণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন রাখার জন্য ইতোমধ্যে আমরা নতুন কিছু ফ্রিজ কেনার ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে যেসব ফ্রিজ আছে সেগুলোতে অন্যান্য টিকা রয়েছে।’

‘করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার সাফল্য দেখিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এর স্বীকৃতি মিলেছে’ বলেও দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ২০তম স্থানে রয়েছে। এক্ষেত্রে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র অনেক পিছিয়ে।’