গোপন ও ওপেন সখ্যতা ছাড়ুন: বিএনপিকে কাদের


স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনে বিএনপির গৃহিত কর্মসূচিকে ‘ভালো খবর’ উল্লেখ করে দলটিকে স্বাধীনতাবিরোধী এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে ‘গোপন ও ওপেন সখ্যতা’ থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি, এটা ভালো খবর। কিন্তু কর্মসূচি পালনের চেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বাধীনতাবিরোধী এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে ‘গোপন ও ওপেন সখ্যতা’ থেকে বেরিয়ে আসা। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়, তাদের নিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী পালন এক ধরনের প্রহসন।’

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ‘রাজনৈতিক আইসোলেশনে’ আছে বলেই সরকারের কোনও উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা চেয়েছিল করোনায় মানুষ না খেয়ে মরুক, রাস্তায় পড়ে মরুক, সেটি হয়নি বলেই তাদের গাত্রদাহ।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব চিরাচরিত শব্দ চয়নে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন। একে সমালোচনা না বলে প্রতিহিংসা ও মিথ্যাচার বলা যায়। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে সরকার নাকি একেবারেই ভ্রুক্ষেপহীন।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন মহামারি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে তখন শেখ হাসিনার মানবিক ও সাহসী নেতৃত্বে একদিকে সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসা অপরদিকে জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা বিধানে গৃহীত পদক্ষেপ বিশ্বব্যপী প্রশংসিত হচ্ছে। বিএনপি চেয়েছিলো মানুষ না খেয়ে এবং বিনা চিকিৎসায় রাস্তায় মরে পড়ে থাকবে, তা হয়নি বলেই তাদের এতো গাত্রদাহ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের ক্ষতি করার পাশাপাশি দেশের ইমেজ নষ্ট করা ও মিথ্যাচারই এখন বিএনপির একমাত্র কৌশল। করোনা নতুন করে আবার প্রাণঘাতি রুপ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় নিজের এবং অন্যের সুরক্ষায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনও বিকল্প নেই।’

বিএনপি করোনাকালে জনগণের জন্য কী করেছে, তা জানতে চেয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার মতো একজন মানবিক নেতৃত্ব যতক্ষণ আছেন ততক্ষণ মহামারিসহ যে কোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় লড়াই চালিয়ে যাবো, ইনশাআল্লাহ্।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ২০০৬-০৭ অর্থবছরে দেশের বাজেট ছিলো ৫৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা আর সেই বাজেট বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালের মূল এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) ছিলো প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা, আর এখন ২ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। তখনকার সময় রিজার্ভ ছিলো ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বর্তমানে ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনীতি এগিয়ে যাওয়া নিয়ে যখন বিশ্বব্যাপী প্রসংশা চলছে তখন বিএনপি সংশয় প্রকাশ করেছে। তারা বলে সরকার নাকি নিজেরাই নিজেদের “রোল মডেল” বলছে। এসব বানানো গল্প। বিএনপি এখন কূলহারা নৌকার মাঝি আর পথহারা পথিকের মতো। তারা সরকারের অর্জনে চরম পরশ্রীকাতর।’