পরীমনি বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে নানা কথা


ভালোবেসে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য ও নির্দেশক কামরুজ্জামান রনিকে বিয়ে করেছিলেন ঢাকাই নায়িকা পরীমনি। কিন্তু সংসারটা তাদের দীর্ঘ হয়নি। বিয়ের ৫ মাসের মাথায়ই গেল আগস্টের মাঝামাঝি ছাড়াছাড়ি হয় তাদের। ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্মাতা কামরুজ্জামান রনির সঙ্গে পরীমনির কোনও সম্পর্ক কিংবা যোগাযোগ নেই এখন।

এরইমধ্যে গেল ৭ ডিসেম্বর এশিয়ার ১০০ ডিজিটাল তারকার তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস। সেই তালিকায় বিশ্বের নামিদামি তারকাদের পাশে জায়গা করে নেন পরীমনি। সেই তালিকায় অমিতাভ বচ্চন, অক্ষয় কুমার, শাহরুখ খান, মাধুরী দীক্ষিতসহ বেশ কয়েকজন বলিউড তারকার নাম আসে।

ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ঝড় তোলা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এরকম ১০০ জন কণ্ঠশিল্পী, ব্যান্ডশিল্পী, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন শিল্পীকে এ তালিকায় রাখা হয়েছিল।

তালিকা প্রসঙ্গে বলা হয়েছিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব তারকাদের সরব উপস্থিতি তাদের পর্দা ও মঞ্চে আরও জনপ্রিয় করেছে। এছাড়া কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে যখন সবকিছু বন্ধ, তখন এই তারকারা সামাজিক মাধ্যমে ভক্ত-অনুরাগীদের সচেতন ও আশাবাদী হতে সাহায্য করেছেন।

চলতি বছরের ৯ মার্চ রাতে অভিনেত্রী ও নির্মাতা হৃদি হকের অফিসে কাজী ডেকে হুট করেই রনিকে বিয়ে করেন পরীমনি। বিয়ের পর কিছুদিন স্বামীর সঙ্গে চুটিয়ে দাম্পত্য জীবন উপভোগ করতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু সেটা নিতান্তই ক্ষণস্থায়ী। এরপর দুজনকে আর একসঙ্গে দেখা যায়নি।

এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় খবর প্রকাশ হলে পরী সাফ জানিয়ে দেন, বিয়ে ও স্বামীর বিয়ে তাকে যেন প্রশ্ন করা না হয়। বিয়ে নিয়ে তিনি কোনও কথা বলতে রাজি নন। নায়িকার ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, পরীমনি আসলে হুজুগে রনিকে বিয়েটা করেছিলেন।

২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবির মধ্য দিয়ে রুপালি পর্দায় পরীর অভিষেক হয়। ওই বছরই রানা প্লাজা ধ্বসের পটভূমিতে ‘রানা প্লাজা’ ছবিতে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। যদিও ছবিটি এখনও মুক্তি পায়নি। এছাড়াও ‘মহুয়া সুন্দরী’, ‘রক্ত’ ও ‘স্বপ্নজাল’ ছবিগুলো পরীমনিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়।