মোহনপুরে সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের প্রতিবাদ ও আলোচনা সভা


মোহনপুর প্রতিনিধি : ‘জাতির পিতার সন্মান রাখবো মোরা অম্লান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননা করার প্রতিবাদে মোহনপুর উপজেলা কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ আয়োজনে প্রতিবাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টায়মোহনপুর উপজেলা হররুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মোহনপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড.আব্দুস সালাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন মোহনপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন কবিরাজ, সহকারী কমিশনারর (ভূমি) জাহিদ বিন কাশেম, কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ,শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহবুবা সুলতানা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান তালুকদার সহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তারা তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তুলে ধরেন আমাদের মনের যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটাতে এসেছি। সকলেই আজকে মনের টানে অস্তিত্বের, টানে মুক্তিযুদ্ধের, চেতনার বিশ্বাসে বঙ্গবন্ধু প্রতি ভালোবাসার টানে এসেছি। বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি ছিলেন আমাদের চেতনার নাম। অকৃত্রিম দেশপ্রেম আর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছেন বঙ্গবন্ধু।

বাংলাদেশকে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী একজন মহাপুরুষ তিনি। দেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে জীবনের বেশিরভাগ সময় কারাভোগ করেছেন। তার এই ত্যাগের প্রতিদান আমরা কখনও দিতে পারবো না। পাকিস্থানের কারাগারে যখন তার জন্য ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে বলা হলো, বলা হলে তোমাকে ফাঁসি দেয়া হবে। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, আমর লাশটা তোমরা বাংলার মানুষের কাছে পাঠিয়ে দিও।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরে এসে নিজের পরিচয় এভাবে দেন- আমি এজন বাঙালি, আমি একজন মুসলমান। বক্তারা আরও বলেন, ভাস্কর্যের কাছে গিয়ে কেউ পূজা করে না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কার্যের প্রতি শ্রদ্ধা করে সম্মান দেখায়। পৃথিবীর অনেক উন্নত মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। কিন্তু কোথাও কেউতো ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলে না, প্রতিবাদ করে না।

সেই ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তিরা একত্রিত হয়ে দেশের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননাকারীদের হুশিয়ারি করে বক্তরা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কার্য অবমাননা করে সমগ্র দেশের মানুষের অনুভূতির জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করি।