অক্টোবরের শেষে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা : তথ্যমন্ত্রী


আজ শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারত সফরের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বক্তব্য দেন। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদন বাড়াতে না পারায় বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পায়নি মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আসছে অক্টোবরের শেষ দিকে এ প্রতিবন্ধকতা কেটে যেতে পারে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারত সফর নিয়ে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

হাছান মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। এই সফরে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব টেলিভিশন ‘দূরদর্শনে’ একটি সাক্ষাৎকারও দেন তিনি।

এ সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগের জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ইনফরমেশন ও ব্রডকাস্ট মন্ত্রীর সঙ্গে সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দ্রুত সম্পাদন করে যাতে মুক্তি দেওয়া যায় এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি ছবি নির্মাণের চুক্তি আছে, সেটি যাতে দ্রুত শুরু করতে পারি।

আগামী ৭ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর ৫০ বছর কীভাবে উদযাপন করা হবে, সেই বিষয়টিও আলোচনায় ছিল জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, যৌথভাবে কিছু করার পরিকল্পনা দুই দেশের রয়েছে। ভারতে এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে তারা যেটি আশা করেছিলেন, সে অনুযায়ী হয়নি। এ বছরের শেষ দিকে, লাস্ট কোয়ার্টারে, অর্থাৎ অক্টোবরের দিকে টিকা উৎপাদন আরও জোরদার হবে। যেটা তারা আশা করছিলেন, সে অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারেননি। টিকার ম্যাটেরিয়াল (কাঁচামাল) বিদেশে থেকে আসে, সেগুলো না আসার কারণে তারা টিকা উৎপাদনে যেতে পারছেন না। আশা করি, এই বছরের শেষের দিকে এই প্রতিবন্ধকতা কেটে যাবে। তখন আমাদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, সেই টিকা সরবরাহ করা সম্ভবপর হবে।

গত সোমবার তথ্যমন্ত্রী দিল্লিতে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন। প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার নেতাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরদিন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তথ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ‘বাংলাদেশ ওয়ার কমেন্ট্রি’ নামে বইটি লিখেছেন ইউ এল বড়ুয়া।

বাংলাদেশে বিদেশি চ্যানেলের ‘ক্লিন ফিড’ (যে ভিডিওতে বিদেশি বিজ্ঞাপন থাকবে না) নিয়ে সফরে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ১ অক্টোবর থেকে ক্লিন ফিড নিয়ে আইন কড়াকড়িভাবে প্রয়োগ করতে যাচ্ছি, সেই কথাটি ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকে অবহিত করেছি। কারণ আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশের চ্যানেল দেখানো হচ্ছে, ক্লিন ফিড ছাড়া আইন ভঙ্গ করে সেটি করছে।