অপশক্তি দমনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই : তথ্যমন্ত্রী


শনিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত জাতীয় সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। ছবি : সংগৃহীত

দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় এবং অপশক্তি দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই—বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৌদ্ধদের সবচেয়ে বড় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে আজ শনিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত জাতীয় সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণের স্মৃতিবিজড়িত বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান অতিথিরা।

ড. হাছান এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন-অগ্রগতিরই প্রতীক নন, একই সঙ্গে তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনারও মূর্ত প্রতীক। তিনি কদিন আগে বক্তৃতায় বলেছেন—সংস্কৃতিকে ধর্মের সঙ্গে মেলানো উচিত নয়।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সব ধর্মের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রাষ্ট্র রচিত হয়েছে। কিন্তু, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাষ্ট্রকে সাম্প্রদায়িক করার অপচেষ্টা করা হয়। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আবার সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ফিরিয়ে এনেছেন।’

‘প্রতিটি ধর্মের উৎসব আজ দেশে সবার উৎসবে পরিণত হয়েছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ঈদ, দুর্গাপূজা, বুদ্ধপূর্ণিমা, বড়দিন, প্রবারণা পূর্ণিমাসহ ধর্মীয় উৎসবগুলো এ দেশে সর্বজনীন আনন্দের। যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এ সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়, তাদের দমনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং যারা তাদের নিয়ে রাজনীতি করে, তারা বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক হানাহানি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রামু, কুমিল্লা, নাসিরাবাদসহ বিভিন্ন জায়গার ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তারাই এগুলো ঘটিয়েছে এবং তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকেরা এর পেছনে ছিল। এদের দমন করতে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

সমাবেশ শেষে সব ধর্মের মানুষের শান্তি শোভাযাত্রাটি শাহবাগ-সংলগ্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।