অবশেষে শোকজ হলেন দূর্গাপুরের সেই শিক্ষক 


রুবেল হক,  দুর্গাপুর  প্রতিনিধি: অবশেষে শোকজ হলেন বহাল তবিয়তে থাকা  রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রভাবশালী প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন। তথ্য গোপন করে  উপবৃত্তির তালিকায় নিজ কন্যার নাম অন্তর্ভুক্ত করনের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় গত ৬মার্চ বৃহস্পতিবার নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেনকে শোকস করলেন দুর্গাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহীদুল হক।
দুর্নীতি অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারি প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেনকে শোকজ করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষানরাগী সহ সচেতন মহল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নিজ এলাকায় আনন্দ উল্লাস করছেন।
৬ এপ্রিল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক ৩৭. ১০. ৮১৩১. ০০০. ৯৯. ০০২. ২৩-৭১ নং স্বারকে নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেনের কাছে প্রেরিত শোকজপত্রে উল্লেখ্য যে, নিজ কন্যা রাজশাহী পাটকল উচ্চ বিদ্যালয় ষষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যায়ন করলেও আপনি নিজ স্বার্থসিদ্ধি ও আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় বিদ্যালয়ের অধ্যয়ন না করলেও নিজ কন্যাকে বিদ্যালয়ে ভর্তি ও নিয়মিত শিক্ষার্থী দেখিয়ে তথ্য গোপন করে উপবৃত্তির তালিকায় নাম প্রদান করেছেন।
আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন আপনাকে শোকস করা হলো। এবিষয়ে আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়াই আপনার বিরুদ্ধে আন্তরিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র পাঠানো হবে।  সেই সাথে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়ে কেন এই অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এবিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা (জবাব) লিখিতভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট প্রদানের জন্য শোকস পত্রে বলা হয়েছে।
এদিকে দুর্নীতি অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারি প্রধান শিক্ষককে শোকজ করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষানরাগী সহ সচেতন মহল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নিজ এলাকায় আনন্দ উল্লাস করছেন।
এবিষয়ে নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দুর্গাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহীদুল হক বলেন, দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন তার কন্যা বিদ্যালয়ের অধ্যয়ন না করলেও কাগজ কলমে নিয়মিত ছাত্রী দেখিয়ে তথ্য গোপনের মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদানের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত তালিকা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দেন।
এ বিষয়ে   অভিযোগ পেয়ে দ্রুততার গতিতে তদন্ত করলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তিনি এই অনিয়মের সাথে কেন জড়িত হলেন সে বিষয়ে সাত কার্যদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ( জবাব) চেয়ে শোকস পত্র পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর পরিচালক সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আকারে জানানো হবে।