অভিনেত্রী থেকে নেত্রী, বদলেছে পোশাক থেকে আচরণ


কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। ছবি : ইনস্টাগ্রাম থেকে

কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। ২০১৫ সালে ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’ চলচ্চিত্রে নায়ক বনি সেনগুপ্তের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রজগতে প্রবেশ করেন। রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি সাফল্য পায়। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি কৌশানীকে। এবার যোগ দিয়েছেন রাজনীতে। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী কৌশানী।

তবে রাজনীতিতে পা রাখতে না রাখতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু ভয় পাননি। পিছিয়েও যাননি। বরং বুদ্ধি দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়।

 

সম্প্রতি কলকাতার জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে কৌশানী জানিয়েছেন, নতুন ভূমিকায়, অর্থাৎ অভিনেত্রী থেকে নেত্রী হওয়ায় বেশ ভালো লাগছে তাঁর। অনেক কিছু শিখছেন। রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জিংও বললেন এ সুন্দরী।

 

নায়িকার কাছে দৈনিকটির প্রশ্ন ছিল, ‘অভিনেত্রী’ ‘নেত্রী’ হওয়ার পর সকাল থেকে কী করছেন? কৌশানী বলেন, ‘টাইম টেবিল পুরো উল্টে গিয়েছে। আগে শুটিং না থাকলে সকাল ৮টায় ঘুমই ভাঙত না! এখন তৈরি হয়ে প্রচারে বেরিয়ে পড়ছি। যেহেতু আমার এলাকা অনেকটা বড়, তাই ৫-৬ ঘণ্টা রোজ হেঁটে ঘুরছি। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছি। তার পরে ২ ঘণ্টার জন্য ছুটি। স্নান, খাওয়া, ফ্রেশ হওয়া। বিকেলে আবার বেরোচ্ছি। সন্ধ্যায় ফিরে চা খেয়ে বৈঠকে বসে যাচ্ছি। দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে। দম ফেলার সময় পাচ্ছি না। রাতের খাবার খেতে খেতে ১২টা বেজে যাচ্ছে!’

 

প্রচারে পোশাকও প্রাধান্য পাচ্ছে। অন্য ড্রেসের বদলে শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ, দোপাট্টা। গ্ল্যামার সরিয়ে মাটির কাছাকাছি? আনন্দবাজারের এমন প্রশ্নে কৌশানীর ভাষ্য, ‘একজন অভিনেত্রী যা পরতে পারেন, একজন রাজনীতিবিদকে কি তা মানায়? নেত্রীর আদবকায়দা অভিনেত্রীর একেবারেই বিপরীত। ফলে, পোশাক থেকে আচরণ—সবেতেই আমিও বদলে গিয়েছি। আবার যখন অভিনয়ে ফিরব, আবার আমি আগের কৌশানী।’

তাহলে ‘নেত্রী’ আর ‘অভিনেত্রী’র মধ্যে এটাই সূক্ষ্ম পার্থক্য? কৌশানীর উত্তর, ‘আরও আছে। অভিনেত্রী হিসেবে যতটা বড় দুনিয়া দেখেছি, চাপ বা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি, রাজনীতিতে সেসব প্রায় চতুর্গুণ বেশি। এখন মনে হচ্ছে, তখন কিছুই করিনি। এত মানুষের দায়িত্ব, কথা দিয়ে কথা রাখা—এই জীবনটা পুরোপুরি আলাদা।’

 

নির্বাচনের জন্য প্রচারণায় গিয়ে রোদে ঘুরে নায়িকার ত্বক কালচে হয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তুলতেই কৌশানীর হাস্যোজ্জ্বল জবাব, এখন তাঁর শরীরে যে হারে ভিটামিন ডি রয়েছে, অনায়াসে কাউকে ধার দিতে পারেন। নির্বাচনে জিতলে স্কিন ট্যান নিয়ে ভাববেন।