অর্থের অভাবে কুড়িগ্রামের রৌমারীর তাতঁ শিল্প প্রায় বিলপ্তির পথে শিল্পকে বাছিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগীতা কামনা


মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: রৌমারী উপজেলার চর শৈলমারী,বন্দবেড়সহ ২ ইউনিয়নে একসময় তাঁতের খটখট আওয়াজ পাওয়া গেছে।, আজ আর সে শব্দ পাওয়া যায়না। তাঁতশিল্পের সাথে জড়িত কারিগর এবং তাঁতের অস্তিত্ব প্রায় বিপ্তির পথে। হঠাৎ দুটি একটি গ্রামে সে তাঁতশিল্পের ধ্বংসস্তপের মতো পড়ে থাকতে দেখা যায় বাপ দাদার ঐতিহ্যের ধারক-বাহক তাঁত মেশিনগুলো ।  যাদের তাঁত ছিল না তারা গ্রামের ওই সব তাঁতের তৈরি করা গামছা, লুঙ্গি, শাড়ী, বিছানার চাদরসহ বিভিন্ন পোশাক কিনে ব্যবহার করতেন তারা। কিন্তু এখন কালের কড়াল গ্রাসে সে ঐতিহ্য হারিয়ে বিপাকে পড়েছে প্রায় ৫ হাজার তাতি ।

 

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার চর শৈলমারী,পাশাপাশি বন্দবেড় ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে এসব তাতঁশিল্পের একসময় রমরমাভাবে চলতেন তাঁতিরা। এদের মধ্যে কেউ কেউ শত বছর ধরে তাদের ঐতিহ্য ধরে রেখে নিজেদের পোশাক নিজেরাই তৈরি করে ব্যবহার করতেন। আসলেও সম্প্রতি জীবন-জীবিকার তাগিদে তাঁতশিল্প ছেড়ে অন্যান্য পেশায় চলে গেছে অনেকেই ।

আবার কেউ কেউ সুতার মূল্য বৃদ্ধিসহ নানাবিধ প্রতিকুল পরিবেশের কারণে প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর আগেই তাদের তাঁত অর্থের অভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। চর শৈলমারী ইউনিয়নের সুখের বাতি, আন্ন্দবাজার, ঘুঘুমারী, শান্তির চর, পাখিউড়া,কিছুদিন ভালোভাবে চলার পর সুতার দর বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকটসহ নানাবিধ কারণে প্রায় ৫ থেকে ৬ বছর আগে এই তাঁতশিল্প বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। এখন তার তাঁতের যন্ত্রাংশগুলো অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

কেউ কেউ আবার একটু স্বাচ্ছন্দ্যের আশায় নিজ ভিটে মাটি ছেড়ে ঢাকাসহ পেটের দায়ে বিভিন্ন এলাকায় পাড়ি জমিয়েছেন বলে জানা গেছে। এসব তাঁতে গামছা, লুঙ্গি, মহিলাদের শাড়ী, বিছানার চাদরসহ বিভিন্ন পোশাক বুনানো হতো এবং এসব পোশাকের চাহিদাও ছিলো প্রচুর। গ্রাম থেকেই সব বিক্রি হয়ে যেতো। তাঁত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিজস্ব ঐতিহ্যের পোশাক না পেয়ে অন্যান্য শিল্পের কাপড় ব্যবহার করছেন তারা। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শুক্কর আলী,কদম আরী,রুমজান আলী,সবুজ,বদিয়া,সোহরাবসহ আরো অনেকেই।

 

এবিষয় রৌমারী উপজেলা সমবায় অফিসার এনামুল হক জানান দুটি ইউনিয়নে অনেক গুলো তাতঁশিল্প ছিলো,অর্থরসহ নানা সমস্যা বিলিÍর পথে রৌমারীর তাতঁশিল্প। এ শিল্পকে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতার দাবি জানান তাতঁ শিল্পরা।

উপজেলা নির্বাবাহী কর্মকর্তা আল ইমরান তাতঁ শিল্প গলো, অর্থের অভাবে বিলিÍর পথে তারা সরকারের সকলপ্রকারের সহযোগীতার দাবী জানিয়েছেন। আল ইমরান বলেন আমি আমার সাধ্যমতো শিল্প গুলো বাছিয়ে রাখার চেষ্টা করবো।