অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় সতর্কতা, ফাইজারকে দ্বিগুণ অর্ডার দিল অস্ট্রেলিয়া


ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি কোভিড-১৯ টিকার অর্ডার দ্বিগুণ করেছে অস্ট্রেলিয়া। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অস্ট্রেলিয়ায় ৫০ বছরের কম বয়সীদের না দেওয়ার পরামর্শের পর আজ শুক্রবার এমন সিদ্ধান্তের কথা জানালেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ানের খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার চিন্তা থেকে অস্ট্রেলিয়ান টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন দেশটির সরকারকে ৫০ বছরের কম বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বদলে ফাইজারের টিকা প্রয়োগের পরামর্শ দেয়।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিশেষজ্ঞদের এমন পরামর্শের কথা জানানোর পর অস্ট্রেলিয়ার টিকাদান কার্যক্রম বড় ধরনের ধাক্কা খেতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আড়াই কোটি জনসংখ্যার দেশটি মূলত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ওপর ভরসা করে তাদের লোকজনের টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। কোম্পানিটির কাছে পাঁচ কোটি ডোজ অর্ডার দেওয়া ছিল। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ফাইজারের টিকার অর্ডার দ্বিগুণ করে চার কোটি ডোজ করা হয়েছে। ফাইজারের টিকার ওপর এককভাবে জোর দিতে চাইলেও তাদের সরবরাহে বিলম্বের ফলে টিকাদান কতটা গতি ধরে রাখতে পারবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

 

তৃতীয় বিকল্প হিসেবে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার টিকা ‘নোভাভ্যাক্স’। এটি এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। অনুমোদন পেলেও এ বছরের মাঝামাঝি সময় নাগাদ হাতে নাও আসতে পারে অস্ট্রেলিয়ার দেশি টিকা।

 

অন্যদিকে, পার্শ্ববর্তী দেশ নিউজিল্যান্ড শুধুমাত্র ফাইজারের টিকার অনুমোদন দিয়েছে এবং এরই মধ্যে কোম্পানিটির কাছে ৫০ লাখ জনসংখ্যার সবার জন্য পর্যাপ্ত টিকার অর্ডারও দিয়ে রেখেছে কিউই সরকার।

 

এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় ২৯ হাজার ৩৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৯০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হতে পেরেছে ২৬ হাজার ৩৪৩ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছে দুই হাজার ১৩৬ জন। তবে কারও অবস্থাই গুরুতর নয়। বিশ্বখ্যাত পরিসংখ্যান সাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এসব তথ্য জানিয়েছে।