আগামী ৫ বছর হবে কর্মসংস্থানের বছর- মেয়র লিটন


স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহীর উন্নয়নে কিছু কাজ বাকি থেকে গেছে। বাকি কাজগুলো আমাকে দিয়ে করাবেন সেজন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। রাজশাহীর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চাই। আমি সুযোগ পেলে রাজশাহীতে ৫ হাজার কোটি টাকার ব্যাপক উন্নয়ন করতে চাই। আগামী ৫টি বছর হবে কর্মসংস্থানের বছর। পিছিয়ে পড়া রাজশাহী হবে কর্মচঞ্চল নগরী। আগামীতে নির্বাচিত হলে রাজশাহীর জন্য সেই কাজটি করতে চাই।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা হতে দুপুর দুইটা পর্যন্ত নগর ভবনের গ্রীন প্লাজায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে রাসিকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০১৯ সালে ২৭০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রকল্পের মধ্যে ১২০০ কোটি টাকার কাজ আমরা করতে পেরেছি। বাকি ১৫০০ কোটি টাকা  অব্যবহৃত থেকে গেছে। আগামী নির্বাচিত হলে আরো ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ এনে কাজ করতে চাই। নগরীর বর্তমান আয়তনকে বৃদ্ধি করে ৩৭০ কিলোমিটারে নিয়ে যেতে চাই। নতুন জনবল নিয়োগ, পদোন্নতিসহ সকল ব্যয় নির্বাহে সিটি কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধি করতে চাই।

রাসিক মেয়র বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনকে আর্থিকভাবে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করি। শতাধিক কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। দায়িত্ব গ্রহণে ৬ মাসের মধ্যেই সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করি। সিটি কর্পোরেশন ইপিআই কার্যক্রমে পরপর ১১বার দেশসেরা হয়েছে। তৃতীয়বারের মতো বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছি। রাজশাহী এশিয়ার মধ্যে অন্যতম পরিচ্ছন্ন শহরে পরিণত হয়েছে। এই অর্জন ধরে রেখে রাজশাহীকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, পদ্মাচরে রিভার সিটি গড়ে তুলতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নগরীর উত্তরাংশে সম্প্রসারণ করতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে আরডিএ ও প্রাইভেট সেক্টরে আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হচ্ছে। নগরীতে ইতোমধ্যে দুটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। আরো পাঁচটি ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজশাহীতে দুটি সরকারী আধুনিক স্কুল নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। কৃষি বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন, রাজশাহী হতে কলকাতা সরাসরি বাস, ট্রেন চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। বিসিক-২ শিল্প নগরীর কাজ এগিয়ে চলেছে। সেখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প কারখানা স্থাপিত হলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। বাণিজ্য খাতে উন্নয়নসহ নৌবন্দর স্থাপন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আইটি সেক্টরে রয়েছে অভাবনীয় সম্ভাবনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীর ১০টি স্থানে স্বল্পখরচে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম ও প্রধান প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষার। সভামঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন রাসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নূর-ঈ-সাঈদ, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন। এছাড় আরো বক্তব্য রাসিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ, সাধারনণসম্পাদক আজমীর আহম্মদ মামুন। উন্মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেন।