আত্রাইয়ে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগে স্বামী-শ্বাশুড়ি গ্রেফতার


আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর আত্রাইয়ে লাবনী রাণী (২১) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে  ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামী ও শ্বাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতাকৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাঁচুপুর তেলিপাড়া গ্রামে। গৃহবধু লাবনী নাটোর সদরের চঞ্চল দাসের মেয়ে।
লাবনীর মা বেবি রাণীদাস বলেন, গত চার বছর আগে পাঁচুপুর তেলিপাড়া গ্রামের অসীম দাসের ছেলে অমৃত দাস ওরফে অপুর (২৬) সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেয়া হয় লাবনিকে। ওই সময় দেড় লক্ষ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণের গহনা যৌতুক হিসেবে দেয়া হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই আরো যৌতুক চায় জামায়। এর পর মেয়ের সুখের কথা ভেবে আরো ৫/৬লক্ষ টাকা দিয়ে একটি খাবারের হোটেল করে দিয়েছিলাম। কিন্তু তাতেও তাদের মন ভরেনি। এছাড়া প্রায় রাতে নেশা করে বাড়ী ফিরে মেয়ে লাবনীকে মারপিট করত। এক পর্যায়ে গত এক বছর আগে নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে এবং জীবন বাঁচাতে লাবনি পালিয়ে আমার বাড়ীতে আসে। পরে গন্যমান্য লোকজনের সমঝোতায় মেয়েকে পাঠাই। কিন্তু নির্যাতন কমেনি। আরো টাকার দাবি করে গত ৫দিন আগে আবারো মারপিট করেছে। হঠাৎ করেই বুধবার ভোরে ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে পাঁচুপুরে আসতে বলে। কিন্তু এসে মেয়েকে আর জীবিত পাইনি। লাবনীর মা দাবি করে বলেন,আমার মেয়েকে মারপিট করে ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। আমি এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন,লাবনিকে হত্যার অভিযোগ এনে বাবা চঞ্চল দাস বাদী হয়ে বুধবার সন্ধায় লাবনীর স্বামী ও শ্বাশুরির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ওই দিন লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং অভিযান চালিয়ে লাবনির স্বামী অমৃতদাস ও শ্বাশুরি স্বরশ্বতি দাস (৫০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।