আবারও বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন


বেশ জমজমাটভাবেই গতকাল বুধবার হয়ে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। ভোটগ্রহণ শেষে গতকাল সন্ধ্যায় প্রাথমিক ফল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আলী রেজা। আজ বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয় আনুষ্ঠানিক ফল। একই সঙ্গে পরিচালকদের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো বিসিবির সভাপতির আসনে বসেন নাজমুল হাসান পাপন।

নাজমুল হাসানের বিসিবি সভাপতি হওয়া অনুমতিই ছিল। পরিচালকদের মতামতে সেটাই হলো। নির্বাচনের পর আজ সভাপতি বাছাইয়ের জন্য বৈঠকে বসেন ২৫ পরিচালক। তাঁরা সবাই মিলে বিসিবি সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসান পাপনকেই বেছে নিয়েছেন

সরকারের মনোনয়নে ২০১২ সালের অক্টোবরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাজমুল হাসান। এক বছর পর আরেক অক্টোবরে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৭ সালের নির্বাচনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ড সভাপতি হন নাজমুল হাসান। এবারের নির্বাচনেও বিসিবিপ্রধান হিসেবে তাঁর নামই আসছিল ঘুরে ফিরে। অবশেষে সেটাই হয়েছে। টানা চতুর্থবার বিসিবিপ্রধানের আসনে বসলেন তিনি।

এবারের বিসিবি নির্বাচনে আগের পরিচালনা পর্ষদের বেশিরভাগই জয়ী হয়েছেন। পুরোনোদের মধ্যে ১৯ জনই আবার নির্বাচিত হন। তবে হেরে গেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট।

নির্বাচনে ক্যাটাগরি-১-এর ঢাকা বিভাগ থেকে পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও তানভীর আহমেদ টিটু। দুজনেই সমান ১৭টি করে ভোট পেয়েছেন।

ঢাকা বিভাগ থেকে দুর্জয় ও তানভীর আহমেদের সঙ্গে ভোটে দাঁড়ানো দুই প্রার্থী সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু (কিশোরগঞ্জ) ও খালিদ হোসেন (মাদারীপুর) নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সরে দাঁড়িয়েছেন। শুধু নামেমাত্র ব্যালট পেপার ছিল তাঁদের। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও তানভীর আহমেদ।

ক্যাটাগরি-১-এর রাজশাহী বিভাগ থেকে নির্বাচিত সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী পেয়েছেন ৭ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পেয়েছেন ২ ভোট।

ক্যাটাগরি-২ থেকে ১২ পদে নির্বাচিত হয়েছেন—আবাহনী লিমিটেডের নাজমুল হাসান পাপন (৫৩), গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের গাজী গোলাম মর্তুজা (৫৩), আজাদ স্পোর্টিংয়ের এনায়েত হোসেন সিরাজ (৫৩), শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের নজীব আহমেদ (৫১), মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মাহবুবুল আনাম (৪৭), শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ওবেদ রশীদ নিজাম (৫১), কাকরাইল বয়েজ ক্লাবের সালাহউদ্দিন চৌধুরী (৪৯), শেখ জামাল ক্রিকেটার্সের ইসমাইল হায়দার মল্লিক (৫২), সূর্য তরুণের ফাহিম সিনহা (৫০), ফেয়ার ফাইটার্স স্পোর্টিং ক্লাবের ইফতেখার রহমান (৫০), ঢাকা এসেটসের মনজুর কাদের (৪৯) ও আসিফ শিফা ক্রিকেট একাডেমির মনজুর আলম (৪৬)।

ক্যাটাগরি-৩ থেকে ৩৭ ভোট পেয়ে পরিচালক নির্বাচিত হন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নাজমুল আবেদীন ফাহিম পেয়েছেন মাত্র ৩ ভোট।

আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আ জ ম নাছির উদ্দীন ও আকরাম খান (চট্টগ্রাম বিভাগ), কাজী ইনাম আহমেদ ও শেখ সোহেল (খুলনা বিভাগ), শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল (সিলেট বিভাগ), অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম (রংপুর বিভাগ) ও আলমগীর খান আলো (বরিশাল বিভাগ)।

বিসিবিতে ২৫ জন পরিচালকের পদ থাকলেও ২৩ পদে নির্বাচন হয়ে থাকে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে দুজন মনোনীত হন। এবার মনোনীত হয়েছেন—আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস। ২৩ পদের মধ্যে সাতজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তাই ১৬ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।