আলমডাঙ্গার মোড়ভাঙ্গাতে মোস্তাফা নামের এক মুদি দোকান কর্মচারী নিখোঁজ


আলমডাঙ্গা প্রতিনিধঃ আলমডাঙ্গার মোড়ভাঙ্গাতে মোস্তাফা (২২)নামের এক মুদি দোকান কর্মচারী নিখোঁজ হয়েছেন।  গত ১৪ই আগষ্ট  রাত থেকে তার  কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
পরিবার সুত্রে জানা যায়, মোস্তফা দীর্ঘ ১০ থেকে ১২ বছর হাটবোয়ালিয়া মোঃ জাহাঙ্গীর আলীর মুদি দোকান ‘জননী স্টোরে’ মাসিক বেতনের চাকরি করে আসতেছিল।
গত ১৪ই আগষ্ট  দোকানের   কাজ শেষে  করে সে আর বাড়ি আসেনি। আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকায় খোঁজাখুঁজি করলেও  কোন হদিস পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে  তাকে না পাওয়া গেলেও তার মোবাইল ফোন হাটবোয়ালিয়া  ব্রিজ এর সন্নিকটে  পাওয়া গেছে এবং যাতায়াত করা বাইসাইকেলটি বাজারে পাওয়া যায়। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তার সন্ধান  না পেলে  বাধ্য হয়ে তার ভাই ইউনুস আলী  আলমডাঙ্গা থানায় জিডি করে, জিডি নং (৯২৪)।
নিখোঁজ মোস্তফা চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা মোড়ভাঙ্গা গ্রামের মৃত হবির ছেলে।

এদিকে দোকান মালিক মোঃ  জাহাঙ্গীর  জানান, মোস্তফা ১২ বছরের উর্দ্ধে  আমার দোকানে কাজ করে আসতেছিল, খুবই ভালো  এবং বিশ্বস্ত ছেলে ছিলো।  সে ভালো ছেলে বিধায়  দোকানে একটানা  ১২ থেকে ১৩ বছরের অধিক কাজ করে যাচ্ছে ।প্রতিদিনের ন্যায় ঐদিনেও সে কাজ শেষ করে দোকান থেকে বাহির হয়ে যায়।  কিন্তু গত  ১৪ তারিখ রাতে তার বাড়ি থেকে  আমার নাম্বারে ফোন আসে সে বাড়ি যায়নি। পরক্ষণে তার ফোনে ফোন দিলে ফোন কেও রিসিভ করেনি। পরে তার ফোন  ব্রিজের নিকটে পাওয়া যায়,  তাই সন্দেহ হলে ওই রাতেই নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি করে।
নদীতে  নেমে খোঁজাখুঁজি কেনো  করে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ব্রিজের কাছে ফোন পাওয়াই নদীতে খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে।  কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় তার ব্যবহৃত বাই সাইকেল  বাজারের ভিতরে পাওয়া গেছে।
তার সন্ধান না পাওয়ায় এলাকার চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। গরিব অসহায়  পরিবারের পিতা হারা সন্তান মোস্তফা এক সন্তানের জনক। তার পরিবার  শোঁকে কাতর হয়ে গেছে ।  পরিবারের চাওয়া  জীবিত বা  মৃত  যেভাবেই হোক তাকে যেন তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়।