ইউক্রেনের বিদ্যুৎ স্থাপনায় রাশিয়ার হামলা কি যুদ্ধাপরাধ?


ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার অর্ধেক ভেঙ্গে পড়েছে। ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে রাশিয়ার ক্রমাগত ও ব্যাপক আকারে হামলার কারণে লাখ লাখ লোক রাত কাটাচ্ছে অন্ধকারে, শীতের এই মৌসুমে তাপমাত্রা শূন্যের নীচে চলে যাবার পরও তাপ, বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশটির অসংখ্য মানুষ।

সাধারণ মানুষের ওপর এরকম হামলা ও ক্ষতির কারণে ইউক্রেনের অনেক মানুষ এবং পশ্চিমা নেতারা ত্বড়িৎ নিন্দা জানিয়ে বলেছে এই ধরনের হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল। তবে যুদ্ধের সময় বিদ্যুৎ অবকাঠামোয় হামলা যুদ্ধেরই অংশ-তাই বলা হচ্ছে রাশিয়ার এই কৌশল কি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি?

কিছু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সামরিক স্থাপনায় ব্যবহার হওয়ার কারণে দেশটির বিদ্যুৎ স্থাপনার কিছুর অংশ রাশিয়ার ‘বৈধ’ লক্ষবস্তু হতে পারে।

১৯৯১ সালে ইরাক যুদ্ধে মার্কিন বাহিনী দেশটির তেল ক্ষেত্রে ব্যাপক হামলা চালায় যার সমালোচনাও হয়েছিল ব্যাপক হারে। ১৯৯৯ সালে সার্বিয়া যুদ্ধে ন্যাটো বিদ্যুৎ স্থাপনায় হামলা চালায়। এই দুটি ঘটনাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে ভূক্তভোগী হয়েছিল সাধারণ মানুষ।

এক্ষেত্রে একসময় কার্যত গোলাবর্ষণ ও ক্ষেপনাস্ত্র হামলার মাধ্যমে সামরিক স্থাপনাকে নিষ্ক্রিয় করতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হতো।

তবে রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিক ও ইউক্রেনের অবকাঠামোগুলোকে হামলার লক্ষবস্তুতে পরিণত করার বিষয়টিকে অস্বীকার করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয় ইউক্রেনের সামরিক কমান্ড ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত অবকাঠামোগুলোতেই হামলা চালানো হয়েছে।

সামরিক স্থাপনায় হামলার সময় বেসামরিক মৃত্যু বা হতাহতের ঘটনা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন নাও হতে পারে। তবে এক্ষত্রে ক্ষয়ক্ষতির অনুপাত বিবেচ্য বিষয়।

তবে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যে নভেম্বরের হামলায় এক কোটি মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে আর দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেক ধ্বংস হয়ে গেছে।