উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতেই বিএনপিনেতাদের নামে মামলা


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

ফরিদপুরের সালথার ঘটনায় সরকার উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের এবং গ্রেপ্তার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির মহাসচিব সালথায় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ নামে-বেনামে চার হাজার জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও এরই মধ্যে ২১ জন গ্রেপ্তার এবং হয়রানী-নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি ও সালথায় স্বাভাবিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানান।

 

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফরিদপুরের সালথায় গত ৫ এপ্রিল করোনা মোকাবেলায় সরকারের অপরিকল্পিত লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় একজন পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তাঁর কর্মচারী কর্তৃক একজন দোকান কর্মচারীকে নির্মমভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদে স্থানীয় জনসাধারণ ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

 

জনসাধারণের বিক্ষোভ দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেপরোয়া গুলিবর্ষণ ও একজনকে হত্যার পর উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে উল্টো বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীসহ নামে-বেনামে চার হাজার সাধারণ মানুষকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের প্রমাণ করে সরকার মহামারি করোনা মোকাবিলা নয়, বরং মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনৈতিকভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের দমন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।’

ফরিদপুরের সালথায় লকডাউনে লাঠিপেটাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা গত ৫ এপ্রিল থানা ও উপজেলা কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘সালথায় চার হাজার জনকে অজ্ঞাত রেখে ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার ৮৮ জনের মধ্যে অধিকাংশই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। বর্তমানে সালথায় পুলিশি গ্রেপ্তারি অভিযানের কারণে সারা এলাকা মানুষশূন্য হয়ে গেছে। সেখানে ভয়, আতঙ্ক ও বিভীষিকাময় পরিবেশ বিরাজ করছে।’

 

‘গ্রেপ্তারের নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে নিরীহ মানুষকে হয়রানী ও নির্যাতন করা হচ্ছে। সালথার ঘটনার সঙ্গে বিএনপি কোনোভাবে জড়িত না থাকলেও কেবলমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অথচ গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে- সালথার ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের উসকানি ছিল’, যোগ করেন মির্জা ফখরুল।