‘ওমিক্রন’ : ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা থেকে বাংলাদেশকে বাদ দিল ভারত


পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ফাইল ছবি

অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশকে বাদ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে এক বার্তায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর আগে গতকাল সোমবার জানা যায়, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল ভারত। এ ছাড়া ইউরোপ ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ ভারতের এই তালিকায় ছিল।

দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা করেছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশটির সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই তালিকায় থাকা দেশগুলো থেকে দর্শনার্থীদের ভারতে যাওয়ার পর সেখানে নিজ খরচে আরটি-পিসিআর পরীক্ষাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এই তালিকা হালনাগাদ করেছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি এ তালিকায় রাখা হয়েছিল যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বতসোয়ানা, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইসরায়েলের নাম।

ভারতের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, তালিকার ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো থেকে আগত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের সেখানে পৌঁছানোর পর নিজ খরচে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে কোয়ারেন্টিন এবং পজিটিভ হলে আইসোলেশনের নিয়ম পালন করতে হবে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ভারতে পৌঁছানোর পর যাত্রীদের অবশ্যই নিজ খরচে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দিতে হবে। এরপর ভারত ছেড়ে যাওয়া অথবা অন্যান্য দেশের সঙ্গে সংযোগকারী বিমানের ফ্লাইট ধরার জন্য করোনা পরীক্ষার ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ হলে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের সাতদিনের হোম কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে। ভারতে পৌঁছানোর অষ্টম দিনের মাথায় আবারও করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এই পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল এলে পরবর্তী সাতদিন যাত্রীদের স্বেচ্ছা স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।

এই ধরনের যাত্রীরা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলে, সেটি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কি-না তা জানার জন্য তাদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। এই সময় তাদের পৃথক আইসোলেশন স্থাপনায় রাখা হবে এবং স্টান্ডার্ড প্রোটোকল অনুযায়ী তাদের চিকিৎসা এবং কন্টাক্ট ট্রেসিং করবে কর্তৃপক্ষ।