কালোটাকা সাদা করার ঘোষণা নেই বাজেটে


প্রস্তাবিত বিশেষ সুবিধায় কালোটাকা সাদা করার সুযোগ আগামী অর্থবছরের (২০২১-২২) ঘোষিত প্রস্তাবিত বাজেটে রাখা হয়নি। তবে আগের মতো নির্ধারিত করের অতিরিক্ত জরিমানা দিয়ে কালোটাকা সাদা করার পদ্ধতি বহাল থাকছে। আগামী অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার  জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেটে তিনি কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকা না থাকা সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলেননি। অর্থবিলেও এ সম্পর্কে তেমন কিছুর উল্লেখ নেই।

 

চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) বাজেটে বিশেষ ‘সুযোগ হিসাবে’ ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালোটাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, নগদ অর্থ, স্থায়ী আমানত, জমি-ফ্ল্যাট রিটার্নে দেখানো তথা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এ সুযোগ রয়েছে।

 

মাত্র ১০ শতাংশ সুদে কালোটাকা সাদা করার বিশেষ সুবিধা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। সুশীল সমাজ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো এর তীব্র বিরোধিতা করেছে। এমনকি বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ী সংগঠন ও ব্যবসায়িক নেতা পর্যন্ত এই সুবিধার তীব্র সমালোচনা করেছেন।

 

তাঁরা বলেছেন, এই ব্যবস্থা বৈষম্যমূলক। কারণ দেশে সর্বোচ্চ কর হার ২৫ শতাংশ। সৎ করদাতাদের অনেককে ২৫ শতাংশ হারে কর দিতে হচ্ছে। আর যারা বিভিন্ন সময়ে কর ফাঁকি দিয়েও সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করে অর্থের পাহাড় জমিয়েছে তাদেরকে মাত্র ১০ শতাংশ করের মাধ্যমে টাকা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

 

এই ধারা চললে সৎ করদাতা আগামীতে কর দিতে নিরুৎসাহিত হবেন। এমনকি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও (এনবিআর) এই সুবিধার বিপক্ষে অবস্থান নেয় বলে জানা যায়। এই বাস্তবতায় কালোটাকা সাদা করার বিশেষ সুযোগ আর বাড়ানো হয়নি।

 

তবে বিশেষ সুযোগ না থাকলেও বিদ্যমান আয়কর আইনের আওতায়ই কালোটাকা সাদা করার সুযোগ আছে। এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য করের সঙ্গে ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে কালোটাকা সাদা করা যাবে।