কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরে কমেছে ধানের চাষ বেড়েছে ভূট্রার আবাদ


মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: রৌমারী ও রাজিবপুরে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ধাণী ক্ষেতে ভূট্রার ব্যাপক আবাদ হয়েছে কমে গেছে বোরোর চাষ। দুই উপজেলার সরেজমিন ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষির সংখ্যা কমছে।

আর একারনে যেসব জমিতে সারাজিবন বোরোর চাষ করতেন কৃষকরা ওইসব জমিতে এবার অসংখ্যহাড়ে ভূট্রার চাষ হয়েছে। কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে রৌমারী উপজেলায় প্রতিবছর ১০ থেকে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করতেন কৃষকরা। ভূট্রার চাষ হতো ২ থেকে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। এবার কিন্ত তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় সম্পূর্ণটাই পাল্টিয়েছে কৃষকরা। তারা বলছে শুধূ ডিজেলের মূল্যটা বৃদ্ধি হওয়ায় ধানের স্থলে চাষ হয়েছে বেশি অংশই ভূট্রা।

এবিষয় রৌমারী উপজেলার সীমান্তঘেষা আলগারচর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম,ছফিউল আলম, আলহাজ্ব হাসেন আলীসহ আরো অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে,সীমান্ত এলাকায় এবার প্রথম ভূট্রার চাষ করা হয়েছে। কারন জানতে চাইলে তারা বলেন তেলের মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে,তাতে ঈড়ি-ধান চাষ করা সম্ভব হচ্ছেনা।

তারা বলছেন ৬০ শতকের একবিঘা জমিতে কম হলেও ৮০ থেকে ৯০ কেজি ডিজেল খরচা করে সেচ সম্পূর্ণ করা হয়ে থাকে। এতে হিসাব করে দেখা গেছে এক বিঘা জমিতে পানি বাবদ ১০ হাজার টাকার ডিজেল পুরতে হচ্ছে। এছাড়াও সার কীটনাশক,লেবার সবকিছু মিলেই বেশি দামে কিনে চাষ করতে হচ্ছে ধান।

এতে বিসাব করে দেখা গেছে এক বিঘা জমির ধান চাষে সর্বমোট খরচা হবে কম হলেও ৩০থেকে ৩৫ হাজার টাকা। ৩৫ হাজার টাকা খরচা করে একবিঘা জমির ফসল যদি ভালো হয় তাহলে ৪০ থেকে উপরে ৫০ মন পর্যন্ত হয়ে থাকে। সেসময় কাচা ধানের বাজার মল্য থাকে সর্বচ্চ ৮০০ টাকা, এটি কিন্ত সর্বচ্ছ ৫০ মন ধরে হিসাব করা হয়েছে। যদি ৪০ মন হয় তাহলে ধান চাষে লোকসান গুনতে হচ্ছে ধান চাষি কৃষকদের।

এদিকে ভূট্রা চাষি কৃষকরা জানিয়েছেন একবিঘা জমিতে ভূট্রা সর্বমোট খরচা হচ্ছে ২০ হাজার টাকা। আকাশ অনুকুলে থাকলে ফসল পাওয়া যায় সর্বনি¤œ ৮০ থেকে ১০০ মন পর্যন্ত। যদি ভূট্রার বাজার ভালো থাকে তাহলে একবিঘা জমির ভূট্রা বিক্রয় হতে পারে ৮০ থেকে এক লক্ষ টাকা। এতে ভূট্রা চাষিরা লাভজনক ফসলের চাষ করে লাভবান হচ্ছেন বলে এমনটি জানিয়েছে তারা।

এবিষয় রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চেীধরী জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ব্যাপকহাড়ে বেড়েছে ভূট্রার আবাদ। চলতি মৌসুমে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ভূট্রার চাষ হয়েছে। অপদিকে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে। ভূট্রার চাষ বেশি হওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি জানান বোরো ধান চাষ করতে হলে সেচ ছাড়া হয়না। আর সেচ দিতে হলে ডিজেল কিনতে হয়, ডিজেল এর মূল্য যখন বেড়েছে তখনই কৃষকরা সল্প খরচে বেশি ফসল পেতে ভূট্রা চাষে আগ্রহী হচ্ছে বেশি, এছাড়া আর কোন সমস্যা নেই।