কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে স্বপ্ন নয় বাস্তবে মুরগির খামার থেকে প্রায় তিন লক্ষ টাকা আয় করছেন খামার মালিক নুরুন্ননবী


মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলাধীন মহনগঞ্জ ইউনিয়নের স্যালুট পাড়া গ্রামে লেয়ার মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী খামার মালিক নুরুন্ননবী। কথায় আছে কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে একথা সবাই বলে,ঠিক তেমনি ফল ফলিয়েছে এই খামারি প্রতিমাসে আয় হচ্ছে ২-৪৭০০০ হাজার টাকা।

পড়ালেখাও করার ভাগ্যে জোটেনি নুরুন্নবীর কপালে, নেই শিক্ষার আলো তবুও জ্বালিয়েছে উন্নয়নের তীব্র আলো। দুঃখের কালো ধুয়া থেকে উন্নয়নের আলোতে আলোকিত করেছে কৃষির উপরনির্ভশীল কৃষক নুরুন্ননবী।

ক্ষুদ্র কৃষক নুরুন্নবী শেষমেশ ৮ লাখ টাকা ঋণ করে ২৮ শো লেয়ার মুরগির খামার করেও স্বাবলম্বী। খামাটি বর্তমান নয় মাস বয়স অতিক্রম করে ১০ মাসে পা রেখেছেন বলে জানান তিনি। ৬ মাস বয়সের শেষের দিকে এসে প্রতিদিন ২ হাজার ৭০০টি মুরগি ডিম দিচ্ছেন নুরুন্নবীর খামারটিতে। তাঁর খামারে মা মুরগির সংখ্যা ২ হাজার ৭০০টি পুরুষ মোড়ক এর সংখ্যা হচ্ছে ১০০টি।

এতে একসঙ্গে ২হাজার ৭০০টি মা মুরগি প্রতিদিন ডিম দিচ্ছেন ২৭০০শোটি। এতে ওই খামার থেকে ২৭০০শো ডিম বিক্রয় মূল্য আসছে দৈনিক ২১ হাজার টাকা। তবে লেয়ার মুরগির খামারটি তার নিজের বাড়িতেই করেছেন। ওই খামার থেকে দৈনিক ২১ হাজার টাকা আসলে হিসাব করে দেখা গেছে প্রতিমাসে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচা বাদে সে হাতে গুনছেন। এখানে মুরগির খাবার খরচা বাদ দিলেও প্রতিমাসে নুরুন্ননবীর আয় হচ্ছে ২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।

নুরুন্ননবীর স্ত্রী আকলিমা খাতুন জানায় আমার দুটি ছেলে একটি মেয়েকে নিয়েই এই সংসারটি চলছে। আমার স্বামী একজন কর্মট মানুষ যার ফলে নানাভাবে উপারজন করে ছেলে শেয়ে লেখাপড়া করিয়ে আসছি। আজ এই মুরগির খামারটি আমরা স্বামী স্ত্রী দুইজনই লালন পালন করে আসছি আল্লাহর রহমতে এখান থেকে প্রতিমাস প্রায় তিন লাখ টাকা আয় হচ্ছে এদিয়েই ছেলে মেয়ে মানুষ করা সুযোগ পাচ্ছি।

খামার মালিক নুরুন্ননবীর স্বাবলম্বী হওয়ার এবিষয় কথা হলে তিনি জানান যদি সরকারিভাবে আমাকে হসযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমি এখান থেকে আরো স্বাবলম্বী হতে পারবো। তিনি আরো বলেন এই এলাকাটা প্রত্যন্তচরাঞ্চল এখানে প্রাানিসম্পদের কোন কর্মকর্তা কর্মচারি কেউই দেখার জন্য আসেন না।

এই খামারের সমস্যা হলে আমাকে যেতে হয় জামালপুর প্রানিসম্পদ অফিসে ওখান থেকে ঔষধ এনে খামারের সমস্যা সমাধান করতে হয়। এবিষয়ে রাজিবপুর উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মহাম্মাদ আবুল বাশার সেতার বক্তব্যে বলেন মহনগঞ্জ ইউনিয়নের স্যালুট পাড়া গ্রামের নুরুন্ননবীর মুরগির খামার থেকে স্বাবলম্বী খবর পেয়েছি আমরা তাকে সর্বপ্রকার সহযোগিতা করে আরো এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা, করবেন বলে আশ্বাস দেন।