কুড়িগ্রামের রৌমারী ব্রহ্মপুত্র নদের করাল গ্রাসে দিশেহারা কয়েকটি গ্রামের মানুষ


মাজহারুল ইসলা, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : রৌমারী উপজেলার চর শেীলমারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারীসহ কয়েকটি গ্রাম ব্রহ্মপুত্র নদের করাল গ্রাসে দিশেহাড়া হয়ে পরেছে। বর্তমানের খবর পানি বাড়ার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুম এলেই প্রতিবছর যেন ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের ধারাবাহিকতা থেকেই যাচ্ছে।

 

দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা কুড়িগ্রাম,কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলার উপর দিয়ে আকাঁবাকা পথে বেয়ে চলেছে ব্রহ্মপুত্রনদসহ ১৫টি ছোট বড় নদ-নদী। যার বিশাল জলধারা নেমে আসে ভারতের আসাম প্রদেশ থেকে ।

 

যাহা আঘাত হানে বাংলাদেশের উত্তর পূর্বঅঞ্চলটি হচ্ছে রৌমারী উপজেলা। এই উপজেলাটিতে প্রতিবছরই পাহাড়ী ঢল এসে এলাকার ঘরবাড়ীসহ পাশাপাশি কৃষকের ফোলানো কষ্টের ফসল গুলো তলিয়ে বিনষ্ট হয়ে থাকে। এতে করে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি স¦াধন হতে দেখা যায়।

 

এই বর্ষা মৌসুমে টানা বর্ষণের ফলে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল বাংলাদেশের ব্রহ্মপুত্র নদে পতিত হয়ে নদী কূলীয গ্রাম গুলো ভাঙ্গনের তান্ডব চালায়। মূলত পাহাড়ী ঢল সীমান্ত পিলার ১০৪৮ থেকে শুরু করে ১০৫২ সীমান্ত রেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশ প্রবেশ রোড ঘাট ছিন্ন হয়ে যায়। ব্রহ্মপুত্র নদে পতিত হয়ে ফুলেফুসে রৌমারী উপজেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়ে থাকে।

 

নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি ও কমে যাওয়ার সময় দুদফা নদী কূলীয় গ্রাম গুলো ভাঙ্গনের মুখে পড়ে। এযেন শত বছরের চিরাচরিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে উলিপুরের সাহেবের আলগা, গেন্দার আলগা ও রৌমারীর ঘুঘুমারী গ্রামসহ ভাঙ্গনের কবলে পরে দিশেহাড়া নদী ঘেষা মানুষ গুলো।

 

ঔতিপূর্বে হাজার হাজার পরিবার ভিটেমাটি হাড়িয়ে সর্বশান্ত হয়ে বিভিন্নভাবে জীবনযাপন করছে তারা। তবে যে গ্রাম গুলো নদী গর্ভে বিলীনের পথে নদের তীরঘেষা মানুষ গুলোর দাবী আমরা সরকারের কাছে কিছুই চাইনা। শুধু বাপদাদার রেখে যাওয়া ভিটেমাটিতে কোনমতে খেয়ে পরে বেচে থাকতে সরকারের সহযোগিতার জোর দাবী তাদের।

 

ভেঙ্গে গেছে রৌমারী উপজেলার অসংখ্য ঘর বাড়ি, ফসলি জমি, গ্রামীণ সড়কসহ নানা স্থাপনা। এব্যাপারে চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দুলাল বলেন, চরশৌলমারী ইউনিয়নটি ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে। তবে ঘুঘুমারীর পশ্চিম অংশে ব্রহ্মপুত্রের কোল ঘেষে শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ না করলে রৌমারী উপজেলা হুমকির মুখে পড়বে।

 

এবিষয় রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি মাথায় রয়েছে। নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন শেখ আব্দুল্লাহ।