কুড়িগ্রামের রৌমারী শার্ট বানানো কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংর্ঘষে মৃত্যু এক আহত ৪


রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে শার্ট বানানোকে কেন্দ্র করে আইজল হক ও আইজল হকের ছেলে হোরায়রা (১২) ও মিলন (২১)সহ পিটিয়ে আহত ৪। চিকিৎসারত অবস্থায় ১ জনের মৃত্যু। গত ১২ ফেব্রুয়ারী শনিবার সন্ধায় দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের গাছবাড়ী গ্রামের বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ রৌমারী হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করবেন। রৌমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত তিনদিন আগে দর্জি মাল্লুককে একটি শার্ট বানানোর জন্য দেয় মিলন। শার্টটি বানানো সঠিক হয়নি এমন বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষে মধ্যে তর্কের সৃষ্টির একপর্র্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি নিয়ে রবিবার সকালে এলাকায় একটি সালিশ বৈঠকের সময় নেয় মাতাব্বরগণ।

সালিশ বৈঠকের আগেই শনিবার সন্ধার দিকে মিলনের ছোট ভাই হোরায়রা (১২) কে রাস্তায় আটক করে মারপিট করে আব্দুল মান্নান, মহিয়াল, মাইদুল, ইউপি সদস্য হরিব মাষ্টার, গোলজার হোসেন, আকবর হোসেন, আখের আলী ও হিরাসহ আরো অনেকে। মারপিটের খবর পেয়ে হোরায়রার পিতা আইজল হক ছেলেকে বাচাতে গেলে তার উপর মারপিট শুরু করে।

পরে মিলন এগিয়ে গেলে তাকেও রড, দেশীয় অস্ত্রপাতি দিয়ে বেধরক মারপিট করতে থাকলে মাথায় আঘাত লাগলে সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তৎক্ষনাত এলাকার লোকজন গুরুতর অবস্থায় থাকা ৪ জনকে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল ১১ টায় মিলন হাসপাতালেই মৃত্যু হয়।

রৌমারী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সেলিম বলেন, শনিবার রাতে গুরুতর অবস্থায় মিলনকে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎমাধীন অবস্থায় তার মৃত্যূ হয়। মিলনের পিতা আইজল হকসহ আরো ৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের মা রাবেয়া খাতুন কান্নার চোখে বলেন, আমার ছেলেকে যাই খুন করছে আমি ওর ফাঁসি চাই।

রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। লাশটি আগামী কাল সোমবার ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে মাঠানো হবে।