গুম-খুনের রাজনীতি জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন : প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে গুম ও খুনের রাজনীতি জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। ওয়ান ইলেভেন সরকার আমার নামেও খুন ও দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল। আমি তো ওইসব মামলা মোকাবিলা করার জন্য জোর করে দেশে ফিরে এসেছি। সৎ সাহস ছিল বলেই আমি দেশে ফিরে এসেছি।’

প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিএনপির তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কাজই হচ্ছে দুর্নীতি আর মানুষ খুন করা। এদের হাতে উন্নয়ন তো হয়ইনি, বরং এরা বরাবরই উন্নয়নবিরোধী।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বের বুকে এক নতুন আধ্যায়ের সূচনা করেছি। বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এ সেতু হবে না। জোড়াতালির এ সেতুতে কেউ উঠবেন না। আমি এখন বিএনপির নেতাদের প্রতি প্রশ্ন করছি, এ সেতুতে উঠতে আপনাদের লজ্জা করে না?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে গুম ও খুনের রাজনীতি জিয়াউর রহমানই শুরু করেছিলেন। ফলে বিএনপি জ্ঞানী-গুণীদের সম্মান দিতে জানে না।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচার প্রক্রিয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আদালতে খালেদা জিয়ার ন্যায্য বিচারই হয়েছে। তা ছাড়া মামলাতো আর আমরা দেইনি। মামলা দিয়েছে তাদেরই (বিএনপি) পছন্দের সরকার। মইন উ আহমেদকে সেনাপ্রধান করেছিল নয়জন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে। আর ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে চাকরি করত, সেই ফখরুদ্দীনকে ভাড়া করে দেশে এনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর করেছিল। সে ফখরুদ্দীনই হয়ে যান প্রধান উপদেষ্টা আর খালেদা জিয়ার আমলের রাষ্ট্রপতি বিএনপির বুদ্ধিজীবী ইয়াজউদ্দিন, যাকে সবাই ইয়েস উদ্দীন বলে ডাকত। তারা সবাই মিলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল। এখন আমরা এ মামলা নিয়ে কী করব?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আদালতে খালেদা জিয়ার ন্যায্য বিচারই হয়েছে। এ নিয়ে আমাদের কী করার আছে? অথচ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে আমার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দিয়েছিল। মইনউদ্দিন, ফখরুদ্দীন এবং ইয়েসউদ্দীনও আমার বিরুদ্ধে আরও মামলা দেয়। আমার কোনো মামলাই নির্বাহী আদেশে বাতিল করা হয়নি। সব মামলাই আদালতের আদেশে বাতিল হয়েছে।’