চাটমোহরসহ চলনবিলাঞ্চলে শুরু হয়েছে বাউত উৎসব


আফতাব হোসেন, চাটমোহর (পাবনা) থেকে: পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলাঞ্চলে মাছ ধরার বাউত উৎসব শুরু হয়েছে। এলাকার বিল ও নদীর পানি কমার সাথে সাথে উপজেলার রামের বিল, খলিশাগাড়ি বিল, ডিকশি বিল, বিলকুড়ালিয়া,বড়াল,গুমানী ও চিকনাই নদী, রহুল বিলসহ বিভিন্ন বিলে দুই মাসব্যাপী চলে এই উৎসব। চলনবিল অঞ্চলের ভাষায় এই উৎসবকে বলা হয় ‘বাউত উৎসব”।

সপ্তাহের প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার নির্দিষ্ট একটি বিলে বাউত নামে। বিভিন্ন উপজেলা হতে নানান বয়সী শত শত মানুষ ভোর হতেই নানা যানবাহনে মাছ ধরার হরেক রকম উপকরণ নিয়ে হাজির হয় বিলে। হৈ হৈ রৈ রৈ করতে করতে করতে আল্লাহ ও রাসুলের নাম নিয়ে নেমে পড়ে বিলের শীতল পানিতে। শত শত সৌখিন মৎস্য শিকারীর হাতে হাতে পলো। এছাড়া নানা রকমের জাল দিয়েও মাছ ধরা হয়।

চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া,ফরিদপুর,আটঘরিয়া ও বড়াইগ্রাম উপজেলার কয়েকশত মানুষ এতে অংশ নেন। বিলে আমন ধান থাকার কারণে শুধু বিলের মাঝের পানিতে মাছ শিকার করা হয়। ধান কাটার পর গোটা বিলে নামবে এই বাউত। আগামী ২ মাস এই মাছ ধরার উৎসব চলবে বলে জানান বাউতে আসা মৎস্য শিকারীরা।

বাউতে আসা সৌখিন মৎস্য শিকারীরা জানান,এই মাছ ধরা উৎসবে বোয়াল,শোল,রুই,কাতলা ছাড়াও হরেক রকম দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। প্রতি বছরই চলনবিল অঞ্চলে নদী ও বিলে কার্তিক,আগ্রহায়ন ও পৌষ মাসে বাউত নামে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান,শুনেছি চলনবিল অঞ্চলে বাউত উৎসবের নামে মাছ ধরা হয়। বিল ও নদীতে হাজার হাজার মানুষ এই মাছ ধরায় যোগ দেন। এতে করে বিলের জলজ প্রাণি ও শাপলা শালুকের ব্যাপক ক্ষতি হয়। মারা যায় ছোট ছোট অসংখ্য মাছ। এ বাপারে গণসচেতনতা তৈরি করা দরকার।