চাপের মুখে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতির জন্য তৎপর বাইডেন


মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার দিনভর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চলমান লড়াই থামানোর চেষ্টায় ছিলেন। গাজায় কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কার্যালয়ের ভবনে ইসরায়েলি হামলায় হতাশ হয়ে তিনি এই উদ্যোগে তৎপর হয়েছেন। সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমনটি জানিয়েছে।

যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতারাও চাপ তৈরি করেছেন বাইডেনের ওপর।

 

জো বাইডেন গতকাল সোমবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পক্ষে তাঁর সমর্থন ব্যক্ত করেন। গতকাল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। এই ফোনালাপেই বাইডেন যুদ্ধবিরতির পক্ষে তাঁর সমর্থন প্রকাশ করেন।

 

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফোনালাপে আলোচনার মাধ্যমে গঠনমূলক সমাধানের পথ বের হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি। বাইডেন বেসামরিক মানুষজনের জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে নেতানিয়াহুকে বলেছেন। যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতার জন্য মিসরের কথা উল্লেখ করেছেন বাইডেন।

 

মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ২৮ জন সদস্য যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁরা বিবৃতিতে বলেন, আর একজন বেসামরিক মানুষেরও যেন প্রাণহানি না ঘটে।

 

সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেট নেতা চাক শুমার সোমবার বলেছেন, তিনিও চান যেন যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো হয়।

 

এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় মোট ২১২ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৬১টি শিশু রয়েছে। এ ছাড়া দেড় হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

সম্প্রতি ইসরায়েল ফিলিস্তিনের জেরুসালেমে আল জাররাহ এলাকা দখলে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। এ নিয়ে সেখানকার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের মধ্যে থেমে থেমে উত্তেজনা চলে আসছিল। গত ৭ মে পবিত্র মাহে রমজানের শেষ জুমা অর্থাৎ জুমাতুল বিদা আদায় করতে বিপুল মুসল্লি আল-আকসা মসজিদে সমবেত হলে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর চড়াও হয়। মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী।

 

এর দুদিন পর শবে কদরেও আল-আকাসা মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে গত সোমবার (১০ মে) থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।