চীনে ব্যাপক বিদ্যুৎ ঘাটতির জেরে গাড়ি নির্মাতা টয়োটার কার্যক্রম ব্যাহত


গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটার লোগো। ছবি : রয়টার্স

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন বড় ধরনের বিদ্যুৎ সংকটের কবলে পড়েছে। এর ফলে প্রবৃদ্ধি ব্যাহত এবং পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে। এরই মধ্যে মারাত্মক এই বিদ্যুৎ ঘাটতি বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করেছে। সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ খবর জানিয়েছে।

কমপক্ষে ২০টি চীনা প্রদেশ ও অঞ্চলে বিভিন্ন পর্যায়ে বিদ্যুৎ সংকট তৈরি হয়। চীনের উৎপাদনশীলতার ৬৬ শতাংশই আসে এসব প্রদেশ ও অঞ্চল থেকে। অথচ এর বেশির ভাগ ভারী শিল্প এলাকায় পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না চীন। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, কয়লার রেকর্ড পরিমাণ দাম বেড়ে যাওয়া। বিদ্যুতের জেনারেটরগুলো বাড়তি চাহিদা সত্ত্বেও আউটপুট কমিয়ে দিচ্ছে। কিছু এলাকায় সক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

চীনে টয়োটার কার্যক্রম ব্যাহত

বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে চীনে টয়োটা মোটর করপোরেশনের কার্যক্রম প্রভাবিত হচ্ছে। মুখপাত্র শিওরি হাশিমোটো গত মঙ্গলবার ইমেইলে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। তবে, এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি হাশিমোটো। মুখপাত্র বলেন, ‘টয়োটা এই মুহূর্তে ভবিষ্যৎ আউটপুট দিতে পারছে না, কারণ পরিস্থিতি বারবার পরিবর্তন হচ্ছে।’

ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের এক নম্বর গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টয়োটা এবং স্থানীয় জয়েন্ট-ভেঞ্চার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি এবং ডিস্ট্রিবিউটরস চীনে পূর্ণাঙ্গভাবে অটোমোবাইল উৎপাদনের ক্ষমতা রাখে। এর উৎপাদক কার্যক্রম চলে মূলত তিয়ানজিন ও সাংহাইকে কেন্দ্র করে। বছরে টয়োটা চীনে দশ লাখেরও বেশি যানবাহন উৎপাদন করে।বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণ

বিশ্লেষক মরগান স্ট্যানলি ও সাইমন লি তাঁদের এক গবেষণা নোটে গত সোমবার পাঁচটি পাওয়ার জেনারেটর কোম্পানিকে বলেছেন, দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতির পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো—৬০-৭০ শতাংশ কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র লোকসানে রয়েছে। কারণ উৎপাদনস্থলে উচ্চ দাম এবং খনি মালিকেরা দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহ চুক্তি পূরণ করছেন না। কিছু কিছু কেন্দ্র তাদের উৎপাদন কমাচ্ছে এবং শিডিউল পরিবর্তন করছে।