জামিনে মুক্ত বার্তামেউ


মেসিদের বিরুদ্ধে দুর্নাম রটানোর অভিযোগে আটকের পর এক রাত পুলিশ হেফাজতে থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি বার্তামেউ। ‘বার্সাগেট’ কেলেঙ্কারির কারণে গত সোমবার সকালে নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বার্তামেউকে।

তার সঙ্গে বার্সার দুই পরিচালক অস্কার গ্রাউ, রোমান গোমেজ পন্তি ও পরামর্শদাতা জুমি মাসফেরারকেও গ্রেফতার করা হয়। বার্তামেউর সঙ্গে জামিন মিলেছে তাদেরও।

বার্তামেউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বড় অদ্ভুত এক অভিযোগে। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজ দলের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে দুর্নাম ছড়াতে বাইরের একটি প্রতিষ্ঠানকে টাকা দিয়েছিলেন। ক্লাবের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসা খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে সেই ক্লাবেরই সভাপতি প্রতিষ্ঠান ভাড়া করছেন সেই খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর জন্য। এমন ঘটনা খুবই বিরল।

কিন্তু নিজের স্বার্থে অন্ধ হয়ে বার্তামেউ এমনটাই করেছেন। গত দেড় দশকে যে খেলোয়াড় ও কোচের হাত ধরেই বার্সেলোনার সিংহভাগ সাফল্য এসেছে, সেই মেসি, পিকে, গার্দিওলারাই শিকার হয়েছেন বার্তোমেউর কূটকৌশলের।

মূলত তদন্তের স্বার্থেই আগের রাতে পুলিশি হেফাজতে থাকেন বার্তামেউ। তবে জানা গেছে পুলিশের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তিনি। শুরু থেকেই বার্সাগেট মামলা অনেক গোপনীয়ভাবে অনুসন্ধান করে যাচ্ছিল কাতালুনিয়ার পুলিশ ফোর্স দ্য মোসেস দ্য এস্কুয়াদ্রা।

কারণ এর আগে গত জুলাইয়ে তড়িঘড়ি করে অনুসন্ধান করায় কেলেঙ্কারি থেকে মুক্তি পেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু কিছু দিন পর পুলিশ আরো তথ্য সংগ্রহ করে বিষয়টির সত্যতার প্রমাণ পায়। ক্লাবটি ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে তিনটি ভিন্ন কাজের জন্য মোট ছয় বার চুক্তি করেছে বলে জানায় তারা।

মঙ্গলবার অবশ্য সকালে সংক্ষিপ্তাকারে কার্যক্রমের গোপনীয়তাও তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে বিচারকের সামনে উপস্থাপন করার আগে এ মামলা আরো দুই বার অনুসন্ধান করা হবে বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম।