তানোরে ২ যুবককে অপহরণের পরে উলঙ্গ ভিডিও ধারন


এইচএম.ফারুক তানোর থেকেঃ ওরা মারাত্মক ভয়ংকর, বাড়ির সামনে যাকেই পায় বাড়িতে তুলে প্রচুর নির্যাতন করে ন্যাংটা ভিডিও করে ব্ল্যাক মেল করে টাকা আদায় করে থাকেন। শুধু বাড়িতে নানা ভাড়াটিয়া হিসেবে বাড়ি জমি দখল করে থাকেন নিয়োমিত।

রাজশাহীর তানোরে পৌর সদরের শিল্পি তার মেয়ে জলি, ডাকা ওরফে ছোট বাবু ও বাদশাসহ আরো কয়েকজন বিভিন্ন ধরনের নেশাদ্রব্য খেয়ে মাথা হ্যাং করে এজাতীয় কাজ করে থাকেন বলে অহরহ অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে সুমন নামের এক যুবককে একা পেয়ে বাড়িতে তুলে নির্যাতন ও ন্যাংটা ভিডিও করে তার কাছে থাকা ৫ হাজার টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন ও একটি ছোট মোবাইল কেড়ে নেয় । নামাজ পর এমন ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা হতবাক হয়ে পড়েন। ওই দিন সন্ধ্যার আগে স্থানীয়রা বিভিন্ন ভাবে সন্ধ্যান চালিয়ে গোকুল গ্রামের নিচে থেকে ধরে পুলিশে দেন।

এতে করে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে। তবে তাদের চরম সাজার দাবি তুলেছেন। নচেৎ এমন ঘটনা ঘটাতেই থাকবেন তারা। শুধু তাই না কখনো ডিবির সোর্স আবার কখনো পুলিশের সোর্স পরিচয়ে এসব অপকর্ম করে থাকেন। জানা গেছে, গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে উপজেলার সরনজাই মন্ডল পাড়া এলাকার সুমন নামের এক যুবক মডেল পাইলট স্কুলের পিছন দিয়ে হিন্দুপাড়া গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। এসময় বাদশ ও ডাকা মুখে মাক্স পরে ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয়ে ধরে ভাড়াটিয়া শিল্পির বাড়িতে তুলেন। বাড়িতে বেধড়ক পিটিয়ে পিঠে ইনজেকশনও পুস করে নির্যাতন চালানো হয়।

কিন্তু স্থানীয় কিছু যুবক বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং নির্যাতন কারীরা টের পেয়ে গোকুল গ্রামের নিচে বিলে হিজলের গাছ তলায় আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে তাদের ধরে এনে পুলিশে দেন। তবে নির্যাতন কারী এখনো অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। এর আগে আগে রাতের আধারে হিন্দুপাড়াগ্রামের মৃত স্বপনের বাড়ি দখল নিতে শিল্প ও জলি বৈদ্যতিক মিটার ভাংচুরসহ বয়োজ্যেষ্ঠ স্বপনের প্রতিবন্ধী স্ত্রী ও ছেলে বউদের মারপিট করে। তাদেরকে মোটা টাকা দিয়ে ভাড়া করেন পৌর সদর এলাকার ভূমিদস্যু মাহফুজ। স্থানীয়রা জানান, শিল্পি ও তার মেয়ে জলি এবং গোকুল গ্রামের ডাগা ওরফে ছোট বাবু, বাদশাসহ কয়েক মিলে তারা গ্যাং তৈরি করেছেন। তারা হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের মাথা হ্যাং করা ওষুধ বা সেবন করে নিয়োমিত চুরি ছিনতাই করে থাকে।

এমনকি পৌর সদর ঠাকুর পুকুর গ্রাম থেকে হেরোইন নেয় ও যারা নিতে আসে কিংবা ওইসব এলাকায় কাউকে একা পাওয়া মাত্রই ছিনতাই এবং মারপিট করে যা থাকে সব কেড়ে নেয়। তাদের এধরনের কাজে প্রতিবাদ করলে দুই মহিলাকে দিয়ে ব্ল্যাক মেল করে মোটা টাকা আদায় করে। তারা এতই ভয়ংকর হয়ে উঠেছে কল্পনাতীত। দিনের বেলায় হোটেলে কাজ করা সহ বিভিন্ন ভাবে টার্গেট করে চালাই ছিনতাই।

শুধু এখানেই শেষ না নারী লোভ দিয়েও আদায় করেন মোটা টাকা। শিল্পির বাড়ি তালন্দ ইউপির আড়াদিঘি গ্রামে। তারা পাইলট স্কুল সংলগ্ন পশ্চিমে মাটির বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকে। তাদের বড় গ্যাং রয়েছে। বিশেষ করে উড়তি বয়সের হেরোইন ও ইয়াবা সেবিদের নিয়ে গ্যাং তৈরি করেছে। এই গ্যাংদেরকে আইনের আওতায় না আনলে এলাকার পরিস্থিতি ভয়ানক হয়ে উঠবে। থানার ওসি আব্দুর রহিম জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।