দেশে রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্টের মূল কারিগর বিএনপি : ওবায়দুল কাদের


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এ দেশে গণতান্ত্রিক, প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্টের মূল কুশীলব ও কারিগর হচ্ছে বিএনপি।’ সেতুমন্ত্রী আজ শুক্রবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির হত্যা, খুন ও সন্ত্রাসের রাজনীতি দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় বাংলাদেশের মানুষ নরক যন্ত্রণার মধ্যে আছে। বৈশ্বিক শান্তি সূচকে বাংলাদেশ গতবারের চেয়ে সাত ধাপ এগিয়েছে।’

 

বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে দেশ আবারও অন্ধকারে তলিয়ে যাবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিশোধপ্রবণ বিএনপি ক্ষমতা পেলে দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে দেবে। সাম্প্রদায়িক ও সহিংসতার পৃষ্ঠপোষক বিএনপির হাতে এই দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয়।’ বিএনপির রাজনীতিকে ভাইরাসের চেয়েও ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সময় ওবায়দুল কাদের দলের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী ২৩ জুন সূর্যোদয়ের সময় কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সব দলীয় কার্যালয়ে দলের ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। একই দিনে সকাল ৯টার দিকে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এ ছাড়া ২৩ জুন বিকেল ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

 

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) পক্ষ থেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালানো হবে এবং বিশেষ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে।

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে দিবসটি পালনের আহ্বান জানান।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহামারি করোনার কারণে যথাযথভাবে আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে পারছি না। তবে ঘরোয়াভাবে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান কাটছাট করতে হয়েছে।’

 

আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের শাখার সংগঠনগুলোকে, বিশেষ করে মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও ওয়ার্ডের সংগঠনগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দিনটি পালন করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এখন দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। প্রথমটি করোনা, দ্বিতীয়টি হচ্ছে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা।’

 

ওবায়দুল কাদের আরও জানান, যেখানে সাংগঠনিক সমস্যা আছে, সেখানে  নিজ নিজ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। আওয়ামী লীগের যেসব কমিটি এর মধ্যেই গঠিত হয়েছে, সেসব কমিটি নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ থাকলে ধানমণ্ডির দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিতে পারবেন।