নওগাঁয় বোন ও ভগ্নীপতির বিরুদ্ধে বোনের মামলা


নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় বড় বোনের মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন ছোট দুই বোন ও ভগ্নীপতি। সদর উপজেলার চক আবরুশ গ্রামের এরশাদ আলীর স্ত্রী জোসনা বেগম বাদী হয়ে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নওগাঁ ফৌজদারী আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

জানা গেছে, সদর উপজেলা হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের চক আবরুশ গ্রামের ওছির উদ্দিন মোল্লা গত ১২ বছর আগে স্ত্রী ও তিন মেয়ে রেখে মারা যান। তার স্ত্রী আয়েশা বেগম এবং তিন মেয়ে জোসনা বেগম, তারা বেগম ও রশিদা বেগম। স্বামী মারা যাওয়ার পর আয়েশা বেগম তার দ্বিতীয় মেয়ে তারা বেগমকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করতেন। স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পতি পরে তিন মেয়েকে সমান ভাগে রেজিষ্ট্রি করে দেন আয়েশা বেগম। কিছু জমি নাতী দ্বিতীয় মেয়ের ছেলে আকাশ আলীকে লিখে দেন তিনি। তবে বড় মেয়ে জোসনা বেগম তার ভাগের জমি বিক্রি করে দেন। দ্বিতীয় মেয়ে তারা’র স্বামী বিদেশে থাকায় তিনি তার মায়ের বাড়িতে থাকতেন এবং অসুস্থ হলে চিকিৎসাসহ মাকে দেখাশুনা করতেন। আয়েশা বেগম প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা জমি বন্ধক নিয়েছিলেন।

আয়েশা বেগম গুরুত্বর অসুস্থ্য হওয়ায় তারা বেগম ও তার ছোট বোন রশিদা বেগমের স্বামী ফায়সাল আলী চিকিৎসা করেন। এতে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। অসুস্থ্য অবস্থায় বন্ধকিয় জমির টাকা তিনি ফেরৎ পাননি। পরে চিকিৎসায় ব্যয় হওয়া টাকা পরিশোধের জন্য আয়েশা বেগম পরামর্শ করে বন্ধক জমির ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ছোট মেয়ের নাতনী ফাহমিদা খাতুনের নামে কাগজ করে দেন। এর কিছুদিন পর চিকিৎসা চলাকালে আয়েশা বেগম মারা (২০২০ সাল) যান। পরে বড় মেয়ে জোসনা বেগম তার মায়ের ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ও গরু আছে দাবী করে স্থানীয় ভাবে বৈঠক বসান। সেখানে সমাধান না হওয়ায় ছোট বোন তারা বেগম ও রশিদা বেগম এবং রশিদার স্বামী ফায়সাল আলীর নামে আদালত মামলা করেন। মামলায় যেসব স্বাক্ষীর নাম দেওয়া হয়েছে তারা বিষয়টি অবগত না।

এবিষয়ে মামলার বাদী জোসনা বেগম বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর আমি মাকে দেখাশুনা করেছি। মায়ের রেখে যাওয়া গরু, জমি ও নগদ টাকা ছিল। আমাকে ফাঁকি দিয়ে ছোট দুই বোন ও বোনের স্বামী ফায়সাল আলী আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে। আমি স্থানীয় ভাবে আপোষের চেষ্টা করেছিলাম সমাধান হয়নি। পরে বাধ্য হয়ে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

মামলার স্বাক্ষী মোয়াজ্জেম মোল্লা বলেন, আমি এ ঘটনার কিছুই জানি না। আমাকে না জানিয়ে এই মামলার স্বাক্ষী করা হয়েছে। আর যে বিষয়ে মামলা করেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ।

এবিষয়ে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, এ মামলা তদন্ত এসেছিল। যা পরে তদন্ত করা হয়েছে। দ্রæত মামলা তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে।