নাচোলে পুকুরের ঘাট নির্মানকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলা আহত-৬


নাচোল প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে একটি সরকারী পুকুরে ঘাট নির্মানকে কেন্দ্র করে বিবাদে আহত -৬। আহতরা সবাই নাচোল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এব্যাপারে নাচোল থানায় তোরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে এজাহার দাখিল করেছেন। এজাহার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১টায় নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের আনুকাদিঘি মৃত তৈমুরের ছেলে রুহুল আমিন(৩৫) ও মানিরুল ইসলাম(৩০)সহ১৫/২০জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী লাঠি সোটা, লোহার রড, ধারালো হাসুয়া, সাবল ও পাওয়ার টিলার গাড়ির লোহার পাতি দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় অর্তকিতভাবে একই গ্রামের এজাহার দাখিলকারী তোরিকুলের চাচাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম(৪০),ভগ্মিপতি আয়েস উদ্দিন(৬৫),ভাবি নার্গিস বেগম(৪০), ভাগ্নি সাহারী বেগম(৪০), বোন পুরকনি বেগম(৫০),ভাবী রেবিনা বেগম(৩৪)কো বাড়ীর মধ্যে ডুকে টেনে হেচড়ে পিটিয়া জখম করে।

 

আহতদের মধ্যে জাহিদুল ইসলামকে বিবাদী রুহুল আমিন হাসুয়ার কোপ মাথায় দিলে প্রচন্ড রক্তক্ষরন হয় তাকে নাচোল হাসপাতালে নিয়ে আসলে ৬/৭ সিলাই দিতে। সে পুরুষ ওয়ার্ডের (২৩) বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া এজাহারভুক্ত ৬নং বিবাদি একই গ্রামের গাজলুর ছেলে হযরত আলী বাদীর ভাগ্নি সাহারী বেগমকে লাঠি দিয়ে বেড়ক পেটায়। এতে করে তার দুই হাতের কব্জি ভেঙ্গে যায়। সাহারী বেগম মহিলা ওয়ার্ডেও ১০নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া বিবাদি ইসমাইল লোহার পাতি দিয়া বাদীর দুলাভাই আয়েশ উদ্দিনকে (পক্ষাঘাত রোগী) মাটিতে ফেলে বেড়ক মারপিঠ করলে মার এড়াতে গিয়ে তার বাম হাতের তালুর বিপরীতে লেগে হাড় ভেঙ্গে যায়।

 

তিনি পুরুষ ওয়ার্ডের ২৯ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এজারভুক্ত বিবাদি মুক্তারের ছেলে দুলাল বাদীর বোন ফুরকনিকে লাঠি দিয়া বেড়ক পিঠালে সেও গুরুতর আহত হয়। তার দুই কানে ও গালে প্রচন্ড আঘাতের ক্ষত রয়েছে। তার কানে থাকা ৬ আনা ওজনের দুল খসে পড়ে যায়। যা আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। মহিলা ওয়ার্ডের ১১নং বেডে চিকিসাধীন রয়েছেন। এছাড়া ভাবী নারগিস বেগমকে বিবাদিরা মেরে জখম করে। তিনি ১২নং বেডে চিকিসাধীন রয়েছেন। মামলার বাদী তোরিকুল ইসলামের জানাই, আমাদের গ্রামের একটি সরকারী পুকুরে ঘাট নির্মান নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল। ঘটনার আগের দিন নাচোল থানার ওসি ও কসবা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান সেখানে গিয়ে একটি নির্ধারিত জায়গায় ঘাট নির্মানরে পরামর্শ দিয়ে আসেন। আমারা সেটা মেনে নিই্ কিন্তু বিবাদি রুহুল আমিন ও অন্যরা তা উপেক্ষা করে নিজেরা দখল করে মাটি ফেলে ও বাঁশের বেড়া দেই।

 

কসবা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা তিনি জানান,আমি আর নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ সেখানে গিয়ে মিমাংসা করে দিয়ে এসেছিলাম। পরবর্তীতে কেন এ ঘটনা ঘটলো আমার জানা নেই। তবে ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমি চিকিৎসাধীন রোগীদের হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা জানান,এজাহার পেয়েছি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।