নিউজিল্যান্ডে ভূমিকম্প, নিরাপদে আছেন তামিমরা


নিউজিল্যান্ডের উপকূলে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে ৮ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তৃতীয় ভূমিকম্পের পর আরও দেশটিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূলীয় লোকজনকে উঁচু ও নিরাপদ স্থানে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এখনও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে ভূমিকম্পে ক্রিকেটারদের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেনন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান ও  বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।

তিনি বলেন, সবাই সুস্থ আছে। লজিস্টিকস ম্যানেজার সাব্বির খানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিই জানিয়েছেন কারও কোনও সমস্যা হয়নি।

কিউইদের সঙ্গে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ দল বর্তমানে ক্রাইস্টচার্চে অবস্থান করছে। ভূমিকম্পের কোনও প্রভাব সেখানে পড়েনি। তবে দেশটির জননিরাপত্তা বিভাগ সর্ব সাধারণকে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টার আগে উত্তর-পূর্বের কেমাডেক আইল্যান্ডে শাক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় দেশটিতে তৃতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

ভূমিকম্পের পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আবারও সুনামি সতর্কতা জারি করে দেশটির পূর্ব উপকূলে ‘অকল্পনীয় জলোচ্ছ্বাসের’ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে বাসিন্দাদের।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ২৭ মিনিটে প্রথম ৭ দশমিক ২ মাত্রার এবং ভোর ৬টা ৪১ মিনিটে দ্বিতীয়বার ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দেশটি। কর্তৃপক্ষ সমুদ্রতীরবর্তী কিছু এলাকার লোকজনকে দ্রুত উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। পরে সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার সকালে আগের দুটির চেয়ে শক্তিশালী তৃতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর কর্তৃপক্ষ আবারও সুনামি সতর্কতা জারি করতে বাধ্য হয়েছে।

এর আগে ২০১১ সালে একটি ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প সরাসরি আঘাত হেনেছিল নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে। শহরটির প্রায় অর্ধেক ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ওই ঘটনায় ১৮৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই শহরেই অবস্থান করছে ক্রিকেটাররা।

বিসিরিব প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তাদেরও কোনও সমস্যা হয়নি। ক্রাইস্টাচার্চে ভূমিকম্পের কোনও আঁচ পড়েনি। কেননা ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে ক্রাইস্টচার্চ অনেক দূরে। ওখানে কোনও প্রকার সতর্কবার্তাও জারি করা হয়নি।