নিয়ামতপুরে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরনের ১২ঘন্টা পর অপহৃতকে উদ্ধার করল পুলিশ 


নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নিয়ামতপুরে ভুয়া র‌্যাব পরিচয়ে হাতে হাতকড়া পরিয়ে অপহরণের ১২ ঘন্টা পর অপহৃত হাবিবুর রহমান (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে তাকে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের পানিহারা এলাকার একটি রাস্তা থেকে অপহরণ করা হয়। পরে ঘটনাটি থানায় জানালে খোঁজ-খবর নিয়ে উদ্ধারে নামে পুলিশ।
ওই দিন রাতেই অপহৃত হাবিবুরকে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকার একটি আমবাগান থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। অপহৃত ব্যক্তি উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের পানিহারা  (নোয়া পাড়া) গ্রামের বাসিন্দা মৃত ভগু মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে অপহৃতের ছোট ভাই আতাউর রহমান বাদি হয়ে সরফরাজ আলীসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, পানিহারা এলাকার হাবিবুরের কয়েক একর জমি লীজ নিয়ে কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে সরফরাজ পানিহারা এলাকায় একটি আম বাগান গড়ে তুলেন। লীজকৃত টাকার লেন-দেন নিয়ে সরফরাজের সাথে হাবিবুরের দ্বন্দ ছিল। এ কারণেই হয়তো কৌশলে ভুয়া র‌্যাব সেজে তাকে অপহরণ করা হয়।
অপহরণের শিকার হয়ে উদ্ধারের পর সংবাদ কর্মীদের হাবিবুর জানান, ঘটনার সময় তিনি নিয়ামতপুর সদরে আসার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে অটোভ্যানের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় হঠাৎ একটি মটরসাইকেলে করে র‌্যাবের পোষাক পরা দু’ব্যক্তি তার সামনে দাঁড়ায়।
কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা হাতকড়া লাগিয়ে মটরসাইকেলে উঠতে বলে তাঁকে। কি করনে তাকে আটক করা হচ্ছে? জানতে চাইলে প্রান নাশের হুমকীও দেয় ভুয়া র‌্যাব সদস্যরা এবং জোর করে মটর সাইকেলে তোলে তাঁকে। এর কিছুক্ষন পর আরো একটি মটর সাইকেলে করে দু’জন যুক্ত হয় তাদের সাথে। এরপর অজ্ঞাত জায়গায় নামিয়ে ২ লক্ষ টাকা দাবী করে ভুয়া র‌্যাব সদস্যরা।
এদিকে, ঘটনার সময় সরফরাজকে ওই এলাকায় ঘুরাফিরা করতে দেখে স্থানীয়রা। র‌্যাব সদস্যরা হাবিবুরকে তুলে নিয়ে গেছে বিষয়টি জানাজানি হলে সরফরাজকেও পাওয়া যায়না এলাকায়। এত করে সন্দেহের তৈরী হয় সরফরাজকে নিয়ে। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হয়।
এ ঘটনায় ওসি হুমায়ন কবির জানান, অভিযোগ পেয়ে হাবিবুরকে উদ্ধারে নামে থানা পুলিশ। পরে শিবগঞ্জ থানার সহায়তায় নিয়ে ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে হাবিুরকে কৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকা থেকে অক্ষাত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার (আজ) হাবিবুরকে জবানবন্দী রেকর্ড করার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং থানায় অপহরণ মামলা হয়েছে।