পাকিস্তানি ব্যাটারদের থামাতেই পারছে না বাংলাদেশ


বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ম্যাচ। ছবি : সংগৃহীত

মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাসের ব্যাটে বড় সংগ্রহের আশা জেগেছিল বাংলাদেশের। কিন্তু, দ্বিতীয় দিন সে লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সফল হতে দিলেন না হাসান আলী। দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সেশনেই ৩৩০ রানে থামিয়ে দিয়েছেন এই পাকিস্তানি পেসার।

লাঞ্চের পর প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিকের দারুণ ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাবর আজমের দল। এরই মধ্যে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন আবিদ আলী। দুই অতিথি ওপেনারকে থামাতেই পারছেন না বাংলাদেশি বোলাররা।

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রান করে থেমেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বাধিক ১১৪ রান করেছেন লিটন। মুশফিকুর রহিম করেছেন ৯১ রান।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দিনের শুরুতেই ফিরলেন আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান লিটন। হাসান আলীর বলে এলবিডব্লিউ’র শিকার হন তিনি। লিটনের বিদায়ে ভাঙে ২০৬ রানের জুটি। ২৩৩ বলে ১১ চার এবং এক ছক্কায় ১১৪ রান করে ফিরেন লিটন।

এরপর ব্যাটিংয়ে নামা রাব্বি নিজের অভিষেক রাঙাতে পারেননি। হাসানের সুইংয়েই উড়ে গেল তাঁর স্টাম্প। অভিষেকে ১৯ বলে ৪ রান করেন রাব্বি।

রাব্বির পর হতাশা সঙ্গী হয় মুশফিকের। সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও পারলেন না স্পর্শ করতে। মুশফিককে কট বিহাইন্ড করে থামান ফাহিম আশরাফ। ৮২ রান নিয়ে দিন শুরু করা মুশফিক থামলেন ৯১ রানে। টেস্টে এ নিয়ে চতুর্থ বার নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হলেন মুশফিক।

প্রথম দেড় ঘণ্টায় তিন জনকে হারানোর পর কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন মেহেদী-তাইজুলের জুটি। তবে, সে জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ফিরে যান তাইজুল। শেষদিকে মিরাজের ব্যাটে ৩৩০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ৬৮ বলে ৩৮ রান করেন মেহেদী মিরাজ।

এর আগে গতকাল শুক্রবার প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ২৫৩ রান করে বাংলাদেশ। আজ প্রথম সেশনে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে শুধু ৭৭ রান যোগ করতে পেরেছে মুমিনুল হকের দল।

পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে ৫১ রান দিয়ে পেসার হাসান নিলেন পাঁচ উইকেট। শাহীন শাহ নিয়েছেন দুটি উইকেট। সমান দুটি উইকেট নিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। সাজিদ খানের শিকার একটি।