পাবনায় চাঁদা না দেয়ায় চাউল ডিলারের ওপর হামলা, ৩ লাখ টাকা ছিনতাই


আটঘরিয়া(পাবনা) প্রতিনিধি : ১০ বস্তা চাউল চাঁদা হিসেবে দিতে অস্বীকার করায় পাবনা সদর উপজেলায় হতদরিদ্র খাদ্য বান্ধব কমসূচির এক চাউল ডিলারের ওপর দুই দফায় হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় চাউল ব্যবসায়ী ও তার ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন।

বুধবার (১২ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম। এর আগে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে ও রাতে দুই দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাউডাঙ্গার মধ্য জামুয়া প্রামাণিকপাড়ার মৃত ছবির উদ্দিনের ছেলে মো. তোফাজ্জল হোসেন বসির (৪৬), করিব হাসান (৩৮) ও  মো. কফিল উদ্দিন (৬৩)। তাদেরকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
থানায় দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. তোফাজ্জল হোসেন সরকারের হতদরিদ্র খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা মূল্যেও চাউলে একজন ডিলার। চক ভাঁড়ারার চিথুলিয়া বটতলায় হতদরিদ্রদের চাউল বিক্রির সময় পশ্চিম জামুয়া এলাকার  রুবেল মোল্লা, তার ভাই জান্নাত আলী মোল্লা ও সাগর শেখ এসে ১০ বস্তা চাউল দাবি করেন।
চাউল দিতে অস্বীকার করায় হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাউল বিক্রি শেষে তোফাজ্জল, করিব ও কফিল বাড়ি ফেরার পথে ভাঁড়ারা বাজারের রাস্তায় রুবেল, জান্নাত ও সাগরের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তাদের গতিরোধ করে এবং মারধর শুরু করেন।
এক পর্যায়ে অস্ত্র বুকে ঠেকিয়ে হামলা করে। এসময় করিব হাসানের কাছে থাকা চাউল বিক্রির ২ লাখ ৭২ হাজার ৯শ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী চাউল ব্যবসায়ী মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের মারধরের পরও সন্ত্রাসীরা আমাদের এলাকায় মহড়া দিচ্ছেন এবং নানান ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন।’
তবে অভিযুক্ত জান্নাত আলী মোল্লা ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, আমি ওইদিন এলাকায় ছিলাম না। প্রয়োজনে আপনারা (সাংবাদিক) এলাকায় এসে দেখে যান, এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।’
ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এবিষয়ে আমরা ভুক্তভোগী চাউল ডিলারের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় আইনগত সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।