পুঠিয়ার তালুকদারগ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ঘড়ে আতংকে জীবন যাপন করছে মমতা


পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ার পূর্ব বারইপাড়া (তালুকদারগ্রামে) মুজিব বর্ষে গৃহহীন দের জন্য সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ঘড়ে আতংকে জীবন যাপন করছে মমতার পরিবার বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকার ইউপি সদস্য মেম্বর মিলন হোসেন, মাসুদ মাষ্টার ও এলাকার একরামুল হোসেন এবং এক মহিলা এই চার জন মিলে অন্য একজন যার কোন বরাদ্দপত্র নাই সেই পরিবারকে ৫ নং ঘরে তুলে দেওয়ার জন্য সবসময় মানসিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করছে বলে জানায় মমতার মা। শুধু তাই নয় অন্য পরিবারকে তুলে দেওয়ার জন্য চৌকি নিয়ে এসে ঘরের সামনে রেখেছে।

এর কারণে ঈদে খুশির পরিবর্তে আতংকে জীবন যাপন করছে মমতার পরিবার। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার পুঠিয়া ইউনিয়নের পীরগাছা পূর্ব বারইপাড়া তালুকদারগ্রামে মানসিক রোগী জোবায়ের হোসেন ও তার স্ত্রী মমতা বেগম এবং তার শিশু সন্তান ১ বছরের বেশি সময় থেকে সেই ঘরে বসবাস করে। ইতিমধ্যেই মমতা ঘর পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন। কিন্তু মমতা তার মানসিক রোগী স্বামী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়ী জায়গা না হওয়ায় মায়ের সাথে থাকতো। কিন্তু সৎ বাবার অত্যাচারে অতি কষ্টে জীবন যাপন করতো।

এই ঘরে মাথা গোজার পরও তিনি ঘর বরাদ্দের আবেদন করেছেন। বর্তমানে ইউপি সদস্য মেম্বর মিলন হোসেন, মাসুদ মাষ্টার ও এলাকার একরামুল হোসেন এবং এক মহিলা এই চার জন মিলে অন্য একজন যার কোন বরাদ্দপত্র নাই সেই পরিবারকে ৫ নং ঘরে তুলে দেওয়ার জন্য সবসময় মানসিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করছে বলে জানায় মমতার মা মনোয়ারা বেগম। শুধু তাই নয় অন্য পরিবারকে তুলে দেওয়ার জন্য চৌকি নিয়ে এসে ঘরের সামনে রেখেছে।

এর করণে ঈদে খুশির পরিবর্তে আতংকে জীবন যাপন করছে মমতার পরিবার। ইতিমধ্যে তালুকদারগ্রামে সাংবাদিক ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি আসায় তারা মমতাকে মাত্রা অতিরিক্তি চাপ প্রয়োগ করছে বলে জানান মমতা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম কে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

শুক্রবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তালুকদার গ্রামের ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।

পুঠিয়া ইউনিয়নের মেম্বর মিলন জানান, এই ঘর তার নামে বরাদ্দ নাই। সে এক বছরের বেশি সময় ধরে এই ঘরে আছে। তার মা একটি ঘর পেয়েছে। তাই তাকে ঘর ছেড়ে দিতে হবে। আমি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেছি স্যার তাদের ঘর ছেড়ে দিতে বলেছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আরাফাত আমান আজিজ জানান, সেখানে বলা হয়েছে, যে যে ভাবে আছে সে সেভাবে থাকবে। আপনাদের কাছে প্রত্যাশা থাকবে জেনে শুনে নিউজ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ ছুটিতে থাকার কারণে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।