পুঠিয়ার পীরগাছায় মুজিব বর্ষে ৯২টি ঘর নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ


পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ার পীরগাছা-পুর্ব কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় মুজিব বর্ষে জমি ও গৃহহীন দের জন্য বরাদ্দকৃত নতুন ৯২ টি ঘর বরাদ্দ নির্মাণ কাজের শুরুতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, ঘরের ব্যাচ কাটার পর, ২/৩ ইঞ্চি বালি ভরাট এবং পানি দিয়ে কিউরিং না করেই ঢালায়ের কাজ করেছে মিস্ত্রিরা। আর ৩ ইঞ্চি ঢালায়ের নিয়ম থাকলেও কোথাও দেড়, দুই, আড়াই ও তিন ইঞ্চি ঢালায় করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটানাস্থলে গিয়ে জানা যায়, নজরুল মিস্ত্রির লেবাররা ভাংড়ি ইট দিয়ে গাথুনি কাজ করছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, নতুন করে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় ৯২ টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছে। এবার প্রতিটি ঘরের জন্য ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫ শত টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বরাদ্দ প্রাপ্তির পর উপজেলার পীরগাছা এবং কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় মুসাখাঁ নদীর তীরে খাস মাটি দখল মুক্ত করে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। রাজমিস্ত্রি লালন ৩০ টি, বাচ্চু মিস্ত্রি ৩০ টি এবং পিআইও সাহেবের কাছের মানুষ নজরুল মিস্ত্রি ৩২ টি ঘরের কাজ করেছেন। ইতি মধ্যে ৯২ টি ঘরের ব্যাচ কেটে ঢালায়ের কাজ শেষ করেছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে রাজমিস্ত্রির নিকট থেকে জানা গেছে, ঘরের কাজের শুরুতেই ব্যাচ কাটা হয়, এরপর ৩ ইঞ্চি বালি দিয়ে ভরাট করা হয়, এরপর পানি ঢেলে কিউরিং করা হয়, তারপর ৩ ইঞ্চি ঢালায় করা হয়। এরপর ১৫ ইঞ্চি ইট গাথুনি, এরপর গেট বিম ঢালায়, তারপর ৫ ইঞ্চি গাথুনি দিয়ে ঘরের কাজ করা হয়। তাহলে ঘরগুলো মজবুত হয়।

এলাকাবাসী জানায়, মিস্ত্রিরা ইচ্ছে মত কাজ করছে। কিন্তু যে কাজ করছে, এমন কাজ করলে ঘর বেশি দিন টিকার কথা নয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া সহ তদন্ত সাপেক্ষে ববস্থা দেওয়ার দাবী জানিয়েছে।

রাজমিস্ত্রি লালন জানায়, ঢালায়ের কোথায় আড়াই ইঞ্চি, কোথায় ৩ ইঞ্চি কম বেশি হতে পারে। পিআইও সাহেব বলেছে আমরা ঠিক করে দেব। আর নতুন ইট না পাওয়ায় ঘরের কাজ বন্ধ আছে।

রাজমিস্ত্রি বাচ্চু জানান, আমি নিয়ম মোতাবেক কাজ করছি। প্রথমে ব্যাচ কাটার পর বালি দিয়ে তারপর পানি দেওয়ার পর ঢালায় করেছি। তারপর পিআইও স্যার বলেছে আমি আবার কাজ করে দিয়েছি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, ৩ ইঞ্চি ঢালায় করার কথা কোথাও একটু কম বেশি হতে পারে। আমি বলেছি সেগুলো ঠিক করে দিবে। আর ব্যাচ কাটার পর বালি দেওয়ার নিয়ম নাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ এর মন্তব্য নেওয়ার জন্য সরকারী মোবাইল ফোনে কয়েকবার ফোন দিয়েও ফোন রিসিভ করেননি।