পুঠিয়ায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর বরাদ্দ টাকা ভূয়া ভাউচার দিয়ে আত্নসাতের অভিযোগ


পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি:  রাজশাহীর পুঠিয়ায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর মেলার বরাদ্দ টাকা নাম মাত্র খরচ করে ভূয়া ভাউচার দিয়ে টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে। ৫০ টি স্টালের স্থানে ৩০ টা স্টল, খবার প্যাকেট কম, প্রচার-প্রচারণা না করেই প্রদর্শনী করা হয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে জুন মাসে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর মেলার ৫০ টি স্টল বাবদ ২ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা কালীন পরিস্থির কারণে ৫০ টি স্টলের স্থানে ৩০ টি স্টল করা হয়। এর মধ্যে তালিকায় দেখানো হয় ৩০ টি স্টল। সেই তালিকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ভালুকগাছী ইউনিয়নে ১১, পুঠিয়া পৌর ও ইউনিয়ন মিলে ১০, বেলপুকুর ৬, বানেশ্বর ২ এবং জিউপাড়া ১ জনের নাম রয়েছে।

অথচ শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় কোন খামারীর নাম তালিকায় নেই। শুধু তাই নয় একই প্রদর্শনীতে স্বামী সাজ্জাদ হোসেন নিয়ে আসেন ছাগল (পাঠা) এবং স্ত্রী বুলবুলি বেগম নিয়ে আসেন হাঁস। রহস্য জনক ভাবে স্বামী স্ত্রী দুই জনের নামে ২ টি স্টল বরাদ্দ ছিলো।

এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে অশন্তর দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয় ডেকোরেটর স্টল খরচ দেখানো হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। অথচ পুঠিয়ার ডেকোরেটর মালিকরা জানান, সেখানে যেমন স্টল করা হয়েছে তাতে ডেকোরেটর খরচ ১৫ থেকে সর্বচ্চ ২০ হাজার টাকা হতে পারে।

ডেকোরেটার মালিক লিটন জানান, ডেকোরেটার দিয়ে ৩০ টি স্টল করা হয়েছে। তার বরাদ্দ বাবদ ৩০ হাজার টাকা বিল পেয়েছি।
হোটেল মালিক রাজু জানান, মেলার দিন ১২০ প্যাকেট খাবার এবং তার পরের দিন ৪০ প্যাকেট খাবার আমাদের নিকট থেকে নিয়েছে।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মকলেছুর রহমান জানান, আমাদের বরাদ্দকৃত টাকা সঠিক ভাবে খরচ করা হয়েছে। ডেকোরেটর কে বরাদ্দকৃত টাকা, খাবার ২৫০ প্যাকেট, প্রচার প্রচারণা, সম্মানী ও যাতযাত খরচ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, এ বিষয়টি প্রাণীসম্পদ দপ্তরের তাই আমার জানা নাই। তবে এই বিষয়ে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা সাথে কথা বলে জেনে নেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু জানান, প্রাণীসম্পদ দপ্তরের বরাদ্দ বা অনিয়মের বিষয়ে আমার জানা নাই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।