প্রধানমন্ত্রী সেবাধর্মী পুলিশ গঠন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশরত্ন বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য, দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের জন্য বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পুলিশের নিয়োগে এসেছে আমূল পরিবর্তন। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, পুলিশ হবে জনগণের বন্ধু। সেই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী সেবাধর্মী পুলিশ গঠন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। 

রবিবার (০২ জানুয়ারি ২০২২ ইং) সারদা পুলিশ একাডেমীতে বাংলাদেশ পুলিশে নব-নিয়োগকৃত ‘ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল’ ২০২১ ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি।

উন্নয়নের টার্গেটে পৌঁছাতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের সকল সেক্টরে উন্নয়নের সুবাতাস বইছে। আমরা লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রি হতে ডেভেলপিং কান্ট্রিতে চলে এসেছি। আমাদের টার্গেট ২০৪১ সালে আমরা ডেভেলপড কান্ট্রি হয়ে যাব। ঐ জায়গায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজন একটি দক্ষ পুলিশ বাহিনী। সে জন্য সৎ, সাহসী ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম তিন হাজার কনষ্টেবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মনে করি দেশ যেমন এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের পুলিশ বাহিনীও সক্ষমতা, দক্ষতা সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাবে। তাদের রিক্রুট যেমন স্বচ্ছ হয়েছে তারা যেন যোগ্য প্রশিক্ষণ পেয়ে যোগ্য পুলিশ বাহিনীতে পরিণত হয়, আমরা তার ব্যবস্থা করেছি। রিক্রুট কনস্টেবলদের ট্রেনিং এ থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থায় আমরা আমূল পরিবর্তন এনেছি। আমাদের পুলিশকে বিশ^মানের পুলিশের কাছাকাছি নিয়ে এসেছি।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের এখন অন্যভাবে জীবন-যাপন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সবকিছুর মূল হচ্ছে সুশাসন। সুশাসনের মূল হচ্ছে স্বচ্ছ কাঙ্খিত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আইন-শৃঙ্খলার মূল দায়িত্ব পুলিশের। নিজের যোগ্যতায় যারা রিক্রুট হয়েছে মানুষের কল্যাণে তাদের নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে।

জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন বলেন, আজ বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। একটি চমৎকার পদ্ধতির মাধ্যমে কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছে। মেধাসম্পন্ন ও যোগ্যরা কৃতকার্য হয়েছে।

আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ বলেন. আশি বছর পর বাংলাদেশ পুলিশ তার ট্রেইনি কনস্টেবল নিয়োগ পদ্ধতির পুরোপুরি ওভারহোলিং (সংস্কার) করেছে। স্বচ্ছতা, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বেস্ট অফ বেস্টদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর সুবিধাভোগী হবে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ।

উল্লেখ্য যে ‘চাকুরী নয় সেবা’ এ শ্লোগানের ভিত্তিতে সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশে তিন হাজার কনস্টেবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সারদা পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল খন্দকার গোলাম ফারুক এর সভাপতিত্বে আজ তাদের মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজশাহী বিভাগ ও জেলার পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।