বগুড়ায় শুল্ক প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবিতে বিড়ি শিল্প শ্রমিকদের মানববন্ধন


বগুড়া প্রতিনিধি: বিড়ি শিল্পের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করা সহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন বগুড়া জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টায় বগুড়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন শেষে বগুড়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনারের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেন তারা।

শ্রমিকদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- বিড়ির অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, নকল বিড়ি বাজারজাত বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং বিদেশি কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করা।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও দেন- বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাভলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান, শ্রমিক নেতা সোহেল রানা, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিড়ি শিল্পের দ্বার উন্মোচিত হয়েছিল। তিনি এই শ্রমঘন শিল্পটি শুল্কমুক্ত ঘোষণা করেছিলেন। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেও বিড়ি শিল্পের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করার দাবি জানাই। সিগারেট ও বিড়ি একই গোত্রভূক্ত হওয়া সত্ত্বেও দুটোর মাঝে বৈষম্য বিরাজ করছে এবং বিড়িকে অসম প্রতিযোগিতায় বাধ্য করা হচ্ছে।

আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ আর সিগারেটে ৩ শতাংশ। বিড়ি দেশীয় শ্রমিক নির্ভরশিল্প হিসেবে বিড়ির অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়া কতিপয় অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ী বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।

বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট টোব্যাকো মার্কেটের ৭৫ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ দখল করে আছে। এতে একদিকে সরকার বছরে বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি শিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নকল বিড়ি বাজারজাত বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।