বাল্য বিয়ের আসরে ভ্রাম্যান আদালতের অভিযান ঘটকের ৭ দিনের কারাদন্ড


নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নিয়ামতপুরে নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। নিশ্চিত নরক থেকে রক্ষা পেয়েছে সে। এখন থেকে সে নির্বিঘ্নে তার লেখা-পড়া চালিয়ে যেতে পারবে। ভাল ফলাফলের প্রত্যাশীও সে। লেখা-পড়া শেষ করে আলোকিত মানুষ হওয়ার স্বপ্ন এখন চোখেমুখে তার।

 

ওই ছাত্রীর এ স্বপ্ন পূরণের পথ প্রসস্থ করেছেন নিয়ামতপুরের প্রশাসন।

 

এ ঘটনায় বরের বাবাকে ৪০০০/- টাকা জনিমানা ও ঘটকের ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভ’মি) নীলুফা সরকার। ঘটনাটি ঘটে সোমবার বিকালে উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের ঈশ্বর দেবোত্তর (কালাইডাঙ্গা হাজ্বি পাড়া) গ্রামে। বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া ওই ছাত্রী ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ভাবিচা ইউনিয়নের কালাই ডাঙ্গা হাজি¦ পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের কন্যা।

 

বিয়ের আয়োজক আত্নীয় স্বজনরা দারিদ্র্যের দোহাই দিয়ে সোমবার বিয়ের দিন ঠিক করেছিল মেয়ের। কম বয়সে বিয়েতে মত ছিলনা ওই ছাত্রীর। লেখা-পড়া চালিয়ে যেতে চেয়েছিল সে। তারপরও মেয়ের মত উপেক্ষা করে বিয়ে সম্পন্নের সবরকম আয়োজন করেছিল পরিবার, ধুমধাম চলছিল বাড়িতে।

 

বরযাত্রীর আগমনের অপেক্ষায় ছিল সবাই। কিন্তু স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে দুপুরে পর পরই হঠাৎ বিয়ে বাড়িতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন এসিল্যান্ড নীলুফা সরকার। সার্টিফিকেট অনুযায়ী বিয়ের বয়স না হওয়ায় বন্ধ করে দেন ছাত্রীর বাল্যবিয়ে।

 

ওই আসরেই মান্দা উপজেলার খুদিয়াডাঙ্গা গ্রামের কনের বর সোহেল রানার বাবা আব্দুস সালামকে ৪০০০/- টাকা জরিমানা সহ কোন নাবালিকা কন্যার সাথে ছেলের বিয়ে না দেয়ার মুচলেকা আদায় করেন এবং বাল্য বিয়ের ঘটক চকশিতা গ্রামের মৃত রহিম উদ্দীন মোল্লার ছেলে মফিজুল মোল্লাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন আদালত।