বিতর্কের মধ্যেই বিবাহোত্তর সংবর্ধনা সারলেন নাসির


নানা সময়ে আলোচনা-বিতর্কে শিরোনাম হয়েছেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করেছেন। আর বিয়ের পরই শুরু হয় নাসিরের নতুন স্ত্রী নিয়ে বিতর্ক। তবে নাসিরের কর্মকাণ্ডে বোঝা গেল তাতে তার কিছুই যায় আসেনি। বিতর্কের মধ্যে রাতেই অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে সারলেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।

গতকাল শনিবার রাতেই রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে আলোচিত নাসির-তামিমা জুটির বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। নাসির-তামিমার বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের আরও দুই ক্রিকেটার সৌম্য সরকার ও শফিউল ইসলাম।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের দিনে নাসির গাঁটছড়া বাঁধেন নববধূ তামিমা সুলতানার সাথে। নাসিরের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে সম্পন্ন হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। নাসির-পত্নীর বাড়ি টাঙ্গাইলে।

পাত্রীর সাথে পারিবারিকভাবেই বিয়ে ঠিক করা ছিল নাসিরের। আকদের অনুষ্ঠানে শুধু পরিবারের সদস্যরা থাকলেও আনুষ্ঠানিক গায়ে হলুদের মত বিয়েতেও হাজির হয়েছিলেন দুই পক্ষের আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

তবে ২০ ফেব্রুয়ারি সারাদিনই আলোচনাতে ছিলেন নাসির ও তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী। তামিমা সুলতানা এর আগেও আরও দুটি সংসার করেছেন। এমনকি ডিভোর্সও দেননি পূর্বের স্বামীকে। সে ঘরে রয়েছে তার ৮ বছর বয়সী এক কন্যাও।

তামিমার পূর্বের স্বামীর নাম রাকিব হাসান। তাকে ডিভোর্স না দিয়ে আবারও বিয়ে করায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি জিডিও করেছেন রাকিব।

স্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডে রাকিব বলেন, তার ৮ বছরের একটি মেয়ে আছে। এখনও আমাদের ডিভোর্স হয়নি। কোনো নোটিশ ছাড়া কীভাবে আমার স্ত্রী ৮ বছরের বাচ্চাকে ফেলে অন্য একজনকে বিয়ে করলো সেটাই আমি বুঝতে পারছি না।

২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিন লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। রাকিবের দাবি, গেল ১১ বছরে তার স্ত্রীর পড়াশোনা থেকে শুরু করে জব সবক্ষেত্রেই তিনি সাহায্য করেছেন। দিনভর আলোচনা-বিতর্ক শেষে রাতেই বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করলেন নাসির ও তামিমা।